• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন

টিকা নেয়নি, অথচ সার্ভারে দেখাচ্ছে নেওয়া হয়ে গেছে


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৯, ২০২১, ৯:৫৪ অপরাহ্ন / ২১২
টিকা নেয়নি, অথচ সার্ভারে দেখাচ্ছে নেওয়া হয়ে গেছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ শুধু রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কিন্তু এখনো টিকা নেননি, এমন অনেকের ক্ষেত্রেই সার্ভারে দেখাচ্ছে টিকা নেওয়া হয়ে গেছে। টিকা দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন এমন অনেকেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো সুরাহা দিতে পারছে না। তারা টিকা দিতে পারবেন কি-না সে ব্যাপারে কেউ তাদের নিশ্চয়তা দিতেও পারছে না।

কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এক কোটির বেশি মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে দু’একজনের ক্ষেত্রে এমন ভুল আসতে পারে। যাদের ক্ষেত্রে এমন ভুল আসবে তারা অভিযোগ জানালে এটা ঠিক করে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন, এমন অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। এখন বিষয়টি যেহেতু আইসিটি বিভাগ করেছে, তাদের হাতেই এটি সংশোধনের ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের হাতে এটা এলে যে অভিযোগগুলো এসেছে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েকটি হাসপাতাল এমন ভুল করেছে। পরে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। এখন থেকে আর এমন ভুল হবে না।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আলী আমজাদ মারুফ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি রেজিস্ট্রেশন করে। নানা কারণে এতদিনেও তিনি টিকা নিতে পারেননি। তার ইচ্ছেও ছিল ফাইজার বা মর্ডানার টিকা দেওয়ার। এখন মর্ডানার টিকা দেওয়া শুরু হলে তিনি টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল তার কেন্দ্র। দুইদিন আগে তিনি সেখানে গেলে জানানো হয় তার দুই ডোজই টিকা নেওয়া হয়ে গেছে। অথচ তিনি এক ডোজ টিকাও নেননি। প্রতিকার জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে একজন কর্মকর্তা স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

সংবাদকর্মী এস এম নুরুজ্জামান। তিনিও গত ফেব্রুয়ারিতে রেজিস্ট্রেশন করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তখন তিনি টিকা নিতে পারেননি। কিছুদিন পর টিকা নেওয়ার উদ্যোগ নিলে সার্ভারে দেখা যায় তার টিকা নেওয়া হয়ে গেছে। সার্ভার থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে সনদও তোলা যাচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, টিকাই নিলাম না, অথচ সার্টিফিকেট চলে এল। এখন আমি টিকা নিতে পারব কী-না সেটাই বুঝতে পারছি না। শুধু এই দু’জন নয়, অনেকের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।