• ঢাকা
  • বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন

টাকার অভাবে দশ মাসের অন্তস্বত্বা মেয়েকে হাসপাতালে নিতে চিন্তায বিভোর বাবা


প্রকাশের সময় : জুলাই ১০, ২০২১, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন / ৩৮৪
টাকার অভাবে দশ মাসের অন্তস্বত্বা মেয়েকে হাসপাতালে নিতে চিন্তায বিভোর বাবা

আজিজুল ইসলামঃ মেঝ মেয়ে সোনিয়া ১০ মাসের গর্ভবতী। বুধবার ডাক্তার বাড়ী যাওয়ার কথা। ডাক্তারের সাফ সাফ কথা নর্মালে হবে না অপারেশনের মাধ্যমে আনতে হবে বাচ্চা। আগের বারের ১৩ শ’ টাকা পাবে ডাক্তার। এবার সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ১২ হাজার টাকা। বাড়ীতে ১ টাকাও নেই। তাই মাথায় হাত দিয়ে উঠোনে ঠায় বসে সোনিয়ার বাবা। চিন্তার ছাপ তার চোখে মুখে। যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ফজলুর রহমানে সংসারের অবস্থা এরকমই। বয়স ষাট পেরিয়েছে ফজলু মিয়ার। শারিরীক দুর্বলতার কারনে কাজে অক্ষম সে। একদিন কাজ করলে ১ সপ্তাহ বসে কাটান। সংসারে অভাব কাটে না। স্ত্রী রাবেয়া ও ৪ মেয়ে নিয়ে ফজলুর রহমাসের সংসার।বড় মেয়ে হালিমা আগের পক্ষের। থাকে শশুর বাড়ী। এ পক্ষের সোনিয়া, আছিয়া,রাজিয়াসহ তিন মেয়ে। কোন ছেলে নেই তাদের। বড় মেয়েে সোনিয়ার বিয়ে হয়েছে বছর খানেক হলো। এখন ১০ মাসের অন্তস্বত্বা। মেজো মেয়ে আছিয়ার বিয়ে হয়েছে মনিরামপুর থানার লাউড়ী গ্রামে। তার মেয়ের বয়স ১ বছর দু মাস। আছিয়ার মেয়ে জন্ম থেকে প্রতিবন্ধি। বাপের বাড়ী এসেছে বাচ্চাটির চিকিৎসা করাতে। শবেবরাতের পরে শশুর বাড়ী থেকে বাপের বাড়ী এসেছে আছিয়া। শশুর বাড়ী যায়নি এখনো। ছোট মেয়ে রাজিয়া ক্লাস সিক্সে পড়ে। এই ৩ মেয়ে নিয়ে লকডাউনের বাজারে হিম শিম খাচ্ছেন ফজলু। ফজলু কাজে অক্ষম। কামলা খাটতে পারেনা। একারনে অভাবের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে। বকা ঝকার ওপরেই দিন কাটে স্বামী স্ত্রীর। তার স্ত্রী রাবিয়া এখন সংসারের হর্তা কর্তা। এবাড়ী ওবাড়ী কাজ করে আর চেয়ে চিন্তে দিন পার করে কোন রকমে। বাড়ী ফিরে যত রাগ দেখান তার স্বামীর ওপর। বাঁশ বাগানের তলায় দু’শতক জমির ওপর ছোট একটা ঘর ফজলু মিয়ার। টালির ছাউনি বেড়া দিয়ে ঘেরা। পাশে ছোট্ট রান্না ঘর। এই মাত্র সম্বল তাদের।সরকারী অনুদান বলতে এছর দশ টাকা দরে চালের একখান কার্ড আছে তাদের। অসহায় এই পরিবারটি এখন সংসার চালানোর চিন্তা বাদ রেখে মেয়ের ডেলিভারি করানোর চিন্তায় বিভোর। এখন তার সাহায্যের খুবই প্রয়োজন। এ মুহুর্তে বিত্তবানরা সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসলে নিস্পাপ সুন্দর একটি ফুট ফুটে শিশু পৃথিবীর আলো দেখতে পারে। কেউ সাহায্য দিতে চাইলে 01908- 221530 নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। দানের উছিলায় করেনার মত মহামারী থেকে হয়তো রেহাই পেতে পারেন আপনি।