ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ শৈলকূপা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা অবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সিনিয়র অফিসারদের আদেশ নিদেশ উপেক্ষিত। আইন-শৃঙ্খলা শৈলকুপায় চরম অবনতি বনে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এলাকার নিরীহ মানুষের হয়রানি, দীর্ঘদিন শৈলকূপায় অবস্থান করে শৈলকুপা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসীন হোসেন একের পর এক অপরাধের রামরাজত্ব গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি শৈলকুপা আইন-শৃংখলার বাহিনীর অপরাধের শিরোমণি শৈলকূপা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসীন হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনসহ স্থানীয় জনতা শৈলকুপা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন । পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব ভুলে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় তাদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে মাদকের রামরাজত্ব গড়ে তোলার অভিযোগ কমতি নেই তার বিরুদ্ধে। টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না এলাকার মানুষের মুখে মুখে বনে গেছে এই দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার নাম। শৈলকুপা থানা অফিসার ইনচার্জ না থাকায়, সহকারী পুলিশ কমিশনার ছুটিতে থাকায় ৫নম্বর কাঁচেরকোল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মির্জাপুর গ্রামের গত ২৩ জানুয়ারী ধাক্কাধাাক্কী করে রাস্তার উপর পড়ে মাথা ফাটার ঘটনা ঘটে। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্ত ছাড়ায় মামলা রেকর্ড করে নিরপরাধ, নিরীহ জনতার সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান আক্কাস আলী মিয়ার বাড়ির মেইন রাস্তার উপরে রাস্তায় খুড়ে ড্রেনের ময়লা ফেলার পাইপ পোতার চেষ্টা করে, সেই সময় ধাক্কাধাক্কি হয়। সেখানে ধাক্কা লেগে রাস্তার উপর পড়ে মাথা কেটে যায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের এমএলবএম জনযুদ্ধের আঞ্চলিক লিডার র্যাবের সাথে করাচ ফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী টিক্কার ভগ্নিপতি আজিজুর রহমান ওরফে তারজুু । দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার সম্পাদক মহোদয় ঢাকার ফোন পেয়ে ঐ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কচুয়া ক্যাম্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত দারোগা আলমগীর ও আনিস। সব চাইতে মজার ব্যাপার হলো এক নম্বর আসামি মোঃ আক্কাস আলী মিয়া গত ২২শে জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ছেলের বাসায়। গত ২৭শে জানুয়ারী স্থানীয়দের সহযোগিতায় কচুয়া ক্যাম্পে শালিশ হয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংসা হয়। এই মিমাংসার সংবাদ পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসীন হোসেন মিথ্যা মামলা রেকর্ড করে । যার নং জে আর ১৪/২০২২, ধারা : ৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/১১৪/৫০৬ পেনাল কোডে মামলা রুজু করে। ঝিনাইদহ জেলা ৬ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই ছয়টি উপজেলার মধ্যে শৈলকুপা উপজেলা সব সময় হাংগামা ও গোলযোগপূর্ণ উপজেলা। এখানে সব সময় গোলযোগ লেগেই থাকে। এ জন্য প্রশাসনের শৈলকূপার উপর আলাদা নজর রাখতে হয়।
পর্যালোচনা করে দেখা যায় গত ২০২১ সালে ৩ জন নিহত হয়েছে। এবং ২০২২ সাল পড়ার সাথে সাথে একজন নিহত হয়। আজ ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত ৫ জন নিহত হয়েছে।
আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ এবং শৈলকুপা থানায় মামলা হয়েছে ২৭শে জানুয়ারি ২২ পর্যন্ত ১৪টি।
গত ২৬শে ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর থেকে এই উপজেলায় মারামারি, গোলযোগ লেগেই আছে। প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্পুন্ন রুপে ব্যার্থ হয়েছে।
শৈলকুপা সাধারণ মানুষের আতংক কাজ করছে সামনে ৭ ফেব্রয়ারী নিত্যনান্দপুর ও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বচন এই নির্বাচন ঘিরে চলছে মোহড়া ও পাল্টা পাল্টি শোডাউন। নিত্যনানন্দপুর গ্রামের মোহর আলী বলেন কখন যে আবার কে মার্ডার হয় কে জানে। না জানি আবার কার মায়ের বুক খালি হয়।
সামান্য কিছু হলেই মারামারি গোলযোগ, আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলে শৈলকুপা থানা পুলিশের নামে, বেনামে বেপোরোয়া ভাবে মামলা নিচ্ছে কোন তদন্ত ছাড়াই।
দেখা যাই গত ২৭শে জানুয়ারি মির্জাপুর গ্রামের একটি মামলা হয়েছে যার নং শৈলকুপা জিআর ১৪/২২ এই মামলায় আসামি করা হয়েছে আক্কাস আলী, আকতার হোসেন,কামরুল,মিজানুর, রুহুল ৫ জনের নাম উল্লেখ করে। এর মধ্যে আক্কাস আলী মিয়ার বয়স ৮০ বছর মির্জাপুর গ্রামে যখন ঘটনা ঘটে তখন তিনি ছেলের বাসায় ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তার নামে মামলা তদন্ত ছাড়া কিভাবে শৈলকুপা থানা পুলিশ মামলা নিলেন এটাই জনসাধারণের মনে প্রশ্ন। তা ছাড়া আক্কাস আলী মিয়ার ছেলে সাংবাদিক জনাব মনিরুজ্জামান মিয়া বলেন আমার বাবা ৮০ বছরের বৃদ্ধ ঢাকা অবস্থান করা কালিন সময় কিভাবে এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে গোলযোগ করলো বুঝি না। থানা পুলিশ মনগড়া ভাবে মিথ্যা মামলা করে পুলিশবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। আমি প্রয়োজনে প্রশাসনের সর্বস্তরে সহযোগিতা নিবো, অপরাধীদের কোন ছাড় নেই, তিনি আরো বলেন এই মিথ্যা মামলার কারনে বৃদ্ধ মানুষ গুলো কনকনে শীতের ভিতর পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শৈলকুপা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসীন হোসেন একের পর এক অপকর্ম করে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে চলছে বিষয়টি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :