• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

ঝালকাঠিতে আর ডি এফ’র কিশোরী কর্মী সহ দুই কিশোরীর বাল্য বিয়ে পন্ড ও আর্থিক জরিমানা


প্রকাশের সময় : মে ৩, ২০২৪, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন / ৪৩
ঝালকাঠিতে আর ডি এফ’র কিশোরী কর্মী সহ দুই কিশোরীর বাল্য বিয়ে পন্ড ও আর্থিক জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধীন গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর অধীনে বাল্যবিবাহ রোধে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সদ্য এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন করা স্কুল ছাত্রী ও ১০ম শ্রেনী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী সহ দু’জন শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে পন্ড সহ তাদের অভিভাবকদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে আর্থিকভাবে জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। একই সাথে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তার টিমের সহযোগীতায় উপস্থিত স্থানীয় কিশোরী ও তাদের অভিভাবকদের সমবেত করে বাল্য বিয়ের কুফল ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ক আলোচনা করেন।

এ বিষয় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার জানান, গত পহেলা মে বিকেল তিনটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে খবর পাই সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বড় একশাড়াপাড়া গ্রামে ১০শ্রেনী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে সাথে সাথে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষে একজন প্রতিনিধি পাঠাই। একই সাথে ঝালকাঠি কিশোর কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রমোটর শুভ বেপারী, শিক্ষক ঐশি দাস, শিক্ষক বিথী শর্মা বনিক এবং আমি গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গুয়াচিত্রা বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। পথি মধ্য আমার পাঠানো প্রতিনিধি বিয়ের সত্যতা জানাতে পেরে আমাকে জানায় যে, আমাদের আশার খবর পেয়ে বর পক্ষ পালিয়ে যান একই সাথে কনেকেও সরিয়ে ফেলা হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর কিশোরী ক্লাবের শক্ত টিম কনেকে খুজতে খুজতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে রাত আনুমানিক ৯টার মধ্যে কনেকে খুজে বের করতে সক্ষম হয়।কনে খুজতে গিয়ে ঐ এলাকায় বৈদ্যুতিক লোডসিডিং থাকায় রাতের আধারে কেঁচো খুজতে গিয়ে সাপ বের হয়ে আসে। আমাদের টিম পাশের বাড়ি কনে খুজতে গিয়ে জানতে পারেন, ঐ বাড়ীতে প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর অধীনে বাল্যবিয়ে রোধে কাজ করা সদ্য এসএসসি পরীক্ষার সম্পন্ন করা, আর ডি এফ এর একজন কিশোরী কর্মীর দু’দিন আগে শরা পড়ে বাল্যবিয়ে সম্পাদন করেছেন তার অভিভাবক। সেই কনে ঝালকাঠি জেলায় বাল্যবিবাহ রোধে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে আর ডি এফ এর কর্মী হয়ে কাজ করেছেন এবং অনেক প্রচার প্রচারনা ও করেছেন। অথচ নিজের বিয়েই ঠেকাতে পারলেন না। হয়নি কোন কাবিন, ধার্য হয়নি কোন দেনমোহর।

ঘটনা স্থলে রাত আনুমানিক ১০টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল ছুটে যান একই সাথে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এক কনের মামাকে বিবাহ পড়ানোর দায়ে ৫ হাজার টাকা এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা আর এক কনের মা’কে ১০হাজার টাকা করে দু’জনকে মোট ১৫ হাজার আর্থিক জরিমানা করেন। এসময় গাভারামচন্দ্রপুর ইউপি সদস্য আসলাম, গ্রাম পুলিশ সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।