• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন

জিয়া পরিবারই বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি চালু করে—-প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২২, ২০২১, ৯:২১ অপরাহ্ন / ২০২
জিয়া পরিবারই বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি চালু করে—-প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

মনিরুজ্জামান অপূর্ব,ঢাকা:মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের হামলাকারী ও খুনীরা অভিন্ন অপশক্তি। এই খুনীদের মূল লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে পূনরায় পাকিস্তানে পরিনত করা। এজন্যই স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধপরাধীরা ২০০৪ সালে ততকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার লক্ষ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। এ হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪জন শহীদ হন ও অসংখ্য মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে’।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘জিয়া ছিল ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও নির্দেশে ২১ আগস্টের হামলা হয়। জিয়া পরিবারই বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি চালু করে’।

তিনি বলেন, আইভি রহমান ছিলেন কর্মীবান্ধব ও রাজপথের সাহসী নেত্রী। রাজনীতিতে তার অবদান চিরস্মরণীয়।
এসময় তিনি ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত খুনিদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি করেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ রবিবার (২২ আগস্ট) ঢাকায় জাতীয় মহিলা সংস্থার আয়োজনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অডিটোরিয়ামে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় শহিদ আইভি রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়বের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর, সাবেক এমপি সেলিনা বেগম স্বপ্না।

সভায় বক্তারা বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে শহিদ আইভি রহমানের অপরিসীম ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য ও ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।