নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বিআরটিসি'র প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার 'জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি এবং তথ্য অধিকার সংক্রান্ত অংশীজন সভা' আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, মোঃ জাকির হোসেন, যুগ্মসচিব মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার প্রতিনিধি ও বিআরটিসি'র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক, বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা ও স্টেক হোল্ডারবৃন্দ।
অংশীজন সভার শুরুতে চেয়ারম্যান, বিআরটিসি তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে বিআরটিসি। সবার অংশগ্রহণে বিআরটিসি'কে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে বিআরটিসি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিনত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিসির উন্নয়নের তথ্যচিত্র তুলে ধরেন জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাঃ ও পার্সোঃ), মোহাম্মদ সাইদুর রহমান (উপসচিব)। তাঁর উপস্থাপনায় বিআরটিসি'কে লোকসানী প্রতিষ্ঠান হতে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ার বিভিন্ন তথ্যচিত্র বর্ণনা করেন।
সৈয়দ জাহাঙ্গীর বলেন, বিআরটিসি'তে যে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে এখানে এসে তা বুঝতে পেরেছি। উন্নত সেবার মান চলমান রাখতে প্রচার প্রচারণা বাড়ানোর জন্য জোর দাবী জানান। লে. জে. মঈন বলেন, বিআরটিসি'তে বর্তমানে একটি সুখকর পরিবেশ বিরাজমান। তিনি বিআরটিসি'তে অভিযোগ প্রতিকারের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানান।
সভায় অংশগ্রহণকারী হাসানুল কবির বলেন, বাস ও ট্রাক সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে লাভের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। পার্থ সারথি দাস (সমন্বয়ক রোড সেফটি অ্যালায়েন্স) বলেন, বিআরটিসির চেয়ারম্যান নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা দিয়ে প্রমাণ করেছেন একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে কি ভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা যায়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি যে কাজ করছেন এ জন্য তাঁকে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য।
মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার (যুগ্মসচিব), তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিআরটিসি স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ও টেকসই রাখার জন্য বিআরটিসি'কে একটি কর্মপরিকল্পনা করতে হবে। মোঃ জাকির হোসেন (অতিরিক্ত সচিব), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বলেন, বিআরটিসি'র এই পরিবর্তন দেখে আমি অভিভূত। সার্ভিস আরো ভালো করে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে হবে। বিজারটিসি ট্রেনিংএ অপরিসীম স্বক্ষমতা অর্জন করেছে।
বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গতিশীল নেতৃত্বের জন্য বিআরটিসিতে পরিবর্তন এসেছে এবং এটাকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
পরে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।