• ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কৃষক লীগের শ্রদ্ধা


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৭, ২০২৩, ৫:১৪ অপরাহ্ন / ৬২
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কৃষক লীগের শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ প্রেম ও দ্রোহের কবি খ্যাত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবির সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।

রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল জামে মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী ও কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ এর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় কেন্দ্রীয় ও মহানগর কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে, কৃষক লীগের নেতারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুলকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে যথার্থভাবে সম্মানিত করেছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, সাম্য ও প্রেমের কবি। তিনি আমাদের অফুরান প্রেরণার উৎস। তাঁর দর্শন ও চেতনা সব শ্রেণির মানুষকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করে।

উল্লেখ্যঃ ১৯৭৬ সালের এ দিনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ তার ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গানের মাধ্যমে শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তার লেখনী আজও জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে।