এম রোমানিয়া, খুলনাঃ জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩২ হাজার ৭৪৩ কিশোরীকে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৩২। বাকী ৯৫৫ স্কুল বহির্ভূত কিশোরী। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ নারীর ১১ জন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রতিবছর প্রায় চার হাজার ৯৭১ জন নারী এ রোগে মৃত্যুবরণ করে।
বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা নগর স্বাস্থ্য ভবনের সম্মেলনকক্ষে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে অ্যাডভোকেসি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিভাগ ব্যতীত অন্য সাতটি বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভায় এ ক্যাম্পেইন চার সপ্তাহব্যাপী চলবে। এসময় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি এর টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। নির্দিষ্ট বয়সী ও নির্ধারিত শ্রেণিতে অধ্যয়নরত কিশোরীরা www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে টিকাকার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। পরে ঐ কার্ড দেখিয়ে টিকার ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, বাল্যবিবাহ, ঘনঘন সন্তান প্রসব, একাধিক যৌনসঙ্গী, ধূমপায়ী, দুর্বলরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী, যে সকল নারী প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন নন এবং সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের অথবা স্বাস্থ্য কর্মীর পরামর্শ নেন না তাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
সভায় অতিথিরা বলেন, এইচপিভি টিকায় কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। এই টিকা পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম। সভায় স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ, সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ সফিকুল ইসলাম, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শরীফ শাম্মীউল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অ্যাডভোকেসি সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজমুর রহমান সজীব।
সভায় কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আপনার মতামত লিখুন :