আজিজুল ইসলামঃ প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় যশোরের বাগআঁচড়া সাত মাইল পশুহাট বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা
দেশের দক্ষিন- পশ্চিম অঞ্চলের সব চেয়ে বড় গরুরহাট, যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া সাত মাইল পশু হাট বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। ফলে জমজমাট গরু হাটের চেহারা রাতারাতি পাল্টে গেছে। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।মঙ্গলবার সাকালে গরু ব্যাপারীদের আন্দোলনের মুখে হাটটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হাটে পূর্বের নিয়ম চলছেনা। ফলে ব্যাপারী ও সাধারণ ক্রেতাদের একই মুল্যে গরু পাশ শুরু হলে ক্ষোভে ফু্সে উঠেন কার্ডধারী ব্যপারীরা। তারা হাটে আন্দোলন শুরু করলে বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় হাটটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
তবে এলাকাবাসী থেকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তন হওয়ায় এ হাট বন্ধ করা হয়েছে । দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গড়ে উঠা ভারতীয় এবং স্থানীয় গরুচাষী ও খামারিদের সাতমাইল গরুর হাট গরু ও ক্রেতার অভাবে এখন খাঁ খাঁ করছে।
সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার প্রতিদিন গড়ে কমপে ৫ হাজার গরু কেনাবেচা হয়ে থাকে এ হাটে। গরুর হাট থেকে মাসে সরকারের টোল আদায় হয় প্রায় এক কোটি টাকা।
স্থানীয় বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনের বলেন, এই হাটটি এর আগে প্রায় ১০ বছর ইজারা নিয়ে চালিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে হাট পরিচালনা করেছেন। চলতি বছর হাটের কোন ইজারা তারা না নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাট পরিচালনা করে কোটিকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
স্বৈরাচার সরকার পতন হওয়ার পর হঠ্যাৎ করে প্রশাসন হাটটি বন্ধ করে রেখেছেন। এটা দুঃখজন। তিনি হাটটি পুনরায় চালু করার জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন,সাতমাইল গরু হাটটি পরিচালনা করতে ১৩০ থেকে ১৫০ জন জনবল প্রয়োজন। এতো জনবল উপজেলা প্রশাসনের না থাকায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে আপাতত হাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে।