নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লাঃ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোকতল হোসেনকে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে অবরুদ্ধ করে ছাত্ররা ও এলাকাবাসী তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়। পরে তাঁকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করে ছাত্ররা। অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক দেবিদ্বার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। বুধবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানের এক কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা জানায়, ওই প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন ছাত্রীদের। ক্ষুব্ধ হয়ে আজ সকালে তাঁকে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তাকে অবরুদ্ধ করে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এ সময় প্রধান শিক্ষক মোকতল হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, দুর্ব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ তোলে তারা। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও অভিভাবকরাও বর্তমান আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মোকতল হোসেন বলেন, আমি চক্রান্তের শিকার।
এ ঘটনায় রাত ৯টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনে ছাত্রছাত্রীরা ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে কয়েক ঘণ্টা। খবর পেয়ে আমরা ওই শিক্ষককে উদ্ধার করি। থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। পুলিশের লাঠি চার্জ ও ছুরা গুলিতে ১৫-২০ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত। আহতদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :