ঢাকা : কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক (২৯) স্থানীয়ভাবে টর্নেডো আশিক নামে পরিচিত। ধর্ষণের ঘটনার পর দাড়ি-গোফ কেটে চেহারা বদলে তিনি কক্সবাজার ছাড়েন।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঘটনার পরপর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ হওয়ায় আশিক দাড়ি-গোফ কেটে, ভ্রু প্লাক করে কক্সবাজার থেকে এসি বাসে প্রথমে ঢাকায় আসে। পরে আরেকটি বাসে মাদারীপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। সেখান থেকে কুয়াকাটায় গিয়ে আত্মগোপনের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে কুয়াকাটা যাওয়ার চেষ্টাকালে রোববার রাতে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
খন্দকার আল মঈন জানান, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আশিক তরুণীকে ধর্ষণ ও তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। সে আরও জানিয়েছে, তার চক্রে ৩০-৩৫ জন সদস্য রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে সে কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, জিম্মি, ডাকাতি, মাদক কারবার, বিভিন্ন হোটেল ম্যানেজারদের সঙ্গে যোগসাজশে পর্যটকদের ফাঁদে ফেলাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।
আশিককে ধর্ষণ মামলার তদন্ত সংস্থা কক্সবাজারের টুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক।
আপনার মতামত লিখুন :