আয়েশা সিদ্দিকী, ঢাকাঃ বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিনেত্রী পরীমনিকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাড়ি থেকে বিদেশি মদের বোতলসহ এলএসডি নেশা করার জন্য ব্লটিং কাগজ এবং মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। আর সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি পুলিশের রিপোর্টে লেখা কিছু বক্তব্যকে তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরীমনির অপরাধের একটি তালিকা সাজিয়েছেন এই লেখিকা।
আটটি পয়েন্টে লেখা পরীমনির অপরাধগুলো হলো, ‘পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে স্মৃতিমণি ওরফে পরীমনি সিনেমায় রাতারাতি চান্স পেয়ে গেছে। তার বাড়িতে বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। তার বাড়িতে একখানা মিনি বার আছে। পরীমনি মদ্যপান করে, এখন সে মদে আসক্ত। নজরুল ইসলাম নামের এক প্রযোজক, যে তাকে সাহায্য করেছিল সিনেমায় নামতে, মাঝে মধ্যে পরীমনির বাড়িতে আসে, মদ্যপান করে। ডিজে পার্টি হতো পরীমনির বাড়িতে। আইস-সহ মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে (এগুলোর চেহারা অবশ্য দেখানো হয়নি)। মদ খাওয়ার বা সংগ্রহ করার লাইসেন্স আছে পরীমনির, তবে তার মেয়াদ পার হয়ে গেছে, এখনও রিনিউ করেনি সে।
তসলিমার দাবি, এগুলো অপরাধের মধ্যে পড়ে না, কিন্তু তাতেও অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হল! লেখিকার দাবি, ‘সত্যিকার অপরাধ খুঁজছি। কাউকে কি জোর করে মাদক গিলিয়েছে, প্রতারণা করেছে মেয়েটি, কাউকে খুন করেছে? অপরাধ খুঁজছি। নাকি মেয়ে হওয়াটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ?’
তসলিমা নাসরিনের দাবি, ‘মদ খাওয়া, মদ রাখা, ঘরে মিনিবার থাকা কোনোটিই অপরাধ নয়। বাড়িতে বন্ধু-বান্ধব আসা, এক সঙ্গে মদ্যপান করা অপরাধ নয়। বাড়িতে ডিজে পার্টি করা অপরাধ নয়। কারো সাহায্য নিয়ে সিনেমায় নামা অপরাধ নয়। কারো সাহায্যে মডেলিংয়ে চান্স পাওয়া অপরাধ নয়। কোনো উত্তেজক বড়ি যদি সে নিজে খায় অপরাধ নয়। ন্যাংটো হয়ে ছবি তোলাও অপরাধ নয়। লাইসেন্স রিনিউয়ে দেরি হওয়া গুরুতর কোনো অপরাধ নয়।