• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ন

চিংড়ি চাষে অসামান্য অবদান রেখে সফল চিংড়ি চাষী হলেন তরুণ ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া রিপন


প্রকাশের সময় : মার্চ ১০, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ন / ১৫
চিংড়ি চাষে অসামান্য অবদান রেখে সফল চিংড়ি চাষী হলেন তরুণ ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া রিপন

মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছায় গোলাম কিবরিয়া রিপন একজন সফল চিংড়ী চাষী। স্নাতকোত্তর পাশ করার পর চাকরির পিছে না ছুটে তিনি ব্যবসার প্রতি মনোযোগী হন। বাগদা পোনা বিক্রির মধ্য দিয়ে তিনি তার ব্যাবসায়ী কাজের যাত্রা শুরু করে। এরপর ঝুঁকে পড়ে বাগদা চিংড়ী চাষে। সেখানেও এসেছে তার সফলতা। বর্তমানে কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় রয়েছে তার প্রায় ২ হাজার বিঘার ৬ টি চিংড়ী ঘের। আর এসব ব্যবসায়ে সফলতা অর্জন করায় তিনি কয়েকবার সরকারী ও বেসরকারীভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে হয়েছেন পুরস্কৃত। এছাড়াও এসব ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ইতোমধ্যে হয়েছেন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের মালিক। অর্জন করেছেন অনেক খ্যাতি ও সম্মান।

গোলাম কিবরিয়া রিপন খুলনার বয়রার রায়ের মহলের শেখ নজির উদ্দিন আহমেদের ছেলে। পিতা ছিলেন চাউল আড়তের মালিক। লেখা পড়ায় তিনি ছিলেন মেধাবী ছাত্র। তিনি খুলনা নৌ বাহিনী মাধ্যমিক স্কুল থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি, খুলনা বিএল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি ও স্মাতকোত্তর পাশ করেন। তার সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি ঢাকা প্রতিদিনকে জানান, চাকুরি তার পছন্দ ছিলনা। বাবা সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যবসার দিকে ঝুঁকি পড়েন তিনি। এরপর নেমে পড়েন বাগদার পোনা ব্যবসায়। বর্তমানে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ফিস ট্রেডিং ও রয়্যাল কালচার নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে কক্সবাজার ও চালনা থেকে বিভিন্ন কোম্পানির বাগদার পোনা বিকিকিনি করেন। এর মধ্যে তার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় ১৮’শ বিঘার ৬ টি বাগদা চিংড়ী ঘের রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আয় করছেন তিনি। ২০২৪ সালে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকার চিংড়ী উৎপাদন করেন তিনি। প্রতিষ্ঠান গুলোতে স্থায়ী ভাবে ৭৬ জন কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থ সম্পদ দান করে বর্তমানে ৫০ বছর বয়সে তিনি দানবীর খ্যাতি অর্জন করেছেন। এদিকে কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় লবণ পানির চিংড়ী চাষ বন্ধের চক্রান্ত শুরু করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান মোড়ল। যার বিরুদ্ধে চিংড়ী চাষ অব্যহত রাখার দাবীতে চিংড়ী চাষী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি।