• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

চাল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এবার প্রতিবন্ধী যুবকে পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২৩, ১১:২৩ অপরাহ্ন / ৪২
চাল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এবার প্রতিবন্ধী যুবকে পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাজশাহীঃ রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার গোপালপাড়া গ্রামে ১৫ টাকা সের সরকারি চাউল ওজনে কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার সম্পাদককে ভিলেনি কায়দা তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটালের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। বুধবার গোপালপুর বাজারে মনজুর রহমানের চা ষ্টলে মারধরের ওই ঘটনা ঘটে।

উপজেলার ১নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গোপাল পাড়া গ্রামের মনসুর রহমানের ছেলে যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতিন (৪০) কে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

মারধরের শিকার যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতিনের মাধ্যমে জানা যায়, মোঃ সাইফুল ইসলাম ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি খাদ্য বান্ধব সরকারি ১৫ টাকা কেজি চাল দেওয়ার স্থানীয় একজন ডিলার। সে অনুযায়ী তিনি কার্ড-ধারীদের মাঝে নির্ধারিত মূল্যে চাউল দিয়ে আসছেন। হঠাৎ কয়েকজন কার্ড-ধারীদের মুখে শুনতে পান ডিলার সাইফুল ইসলাম চাল ওজনে কম দিচ্ছেন।

এ বিষয়টি জানতে স্থানীয় ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মেম্বার শহিদুল ইসলামের সাথে একই ওয়ার্ডের যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান মতিন বিষয়টি জানতে সেখানে গেলে হুমকি ধামকি দিয়ে মতিনকে পাঠিয়ে দেয়।

পরবর্তীতে ডিলার সাইফুল তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মতিনকে স্থানীয় চা দোকানি মঞ্জুরুলের চা স্টলে গিয়ে সেখানে ব্যাপক মারধর শুরু করে। পরে সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে সাইফুল ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা একটি রুমে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করে।

ভুক্তভোগী মতিউর রহমান মতিন বলেন, আমাকে নির্মম নির্দয় ভাবে মারধর করা হয়েছে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়েছে। এমনকি আমাকে মাটিতে ফেলে উলঙ্গ করে পেটানো হয়েছে। তার ভিডিও ইতিমধ্যেই আপনারা হয়তো দেখেছেন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।

তিনি আরো বলেন, আমাকে মারধর করেছে, সাইফুল ইসলাম (৪৫) সাইদুর মাস্টার (৪৭) শরিফুল ইসলাম (৩৮) এদের পিতা মৃত, তাছের আলী। এছাড়াও আরো যারা মারধর করেছে তারা হলেন, আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) পিতা মৃত, দায়েম সরকার। মোজাম্মেল হক (৫০) জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) পিতা সোলায়মান হক।

এই ঘটনায় স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য মেম্বার শহিদুল ইসলাম বলেন, সাইফুল ও তার সাথে আরো কয়েকজন মিলে মতিনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে বিষয়টি সত্য।

এই ঘটনায় ১ নং নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলম তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং সেখানে আমি গিয়েছি। তাকে মারধরের ভিডিওটিও দেখেছি। এভাবে একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধর করা কোন ভাবেই সাইফুলের ঠিক হয়নি। আর সত্যি কথা বলতে আমি সাইফুল এর সাথে চলতে পারিনি। এর আগেও আমি শুনেছি অনেককেই তিনি চাউল দেন না। বর্তমানে আহত মতিউর রহমান মতিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এই বিষয়ে এস আই শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম, ঘটনা সত্য।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ডিলার তিনি বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে উল্টো আমাকে ওরা মারধর করতে এসেছিলেন।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, আমি বাহিরে ছিলাম বিষয়টি জানিনা। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ বা জিডি করতে আসেনি।