নিজস্ব প্রতিবেদক,যশোরঃ জোস্না চক্রবর্তী (৪৯) গত চারদিন ধরে নিখোঁজ, তার বর্তমান বসতভিটা বেনাপোল শিবমন্দির হতে নিখোঁজ হয়। এখনও পর্যন্ত তার কোন সংবাদ পাইনি তার পরিবার মেলেনি সন্ধান। এতে করে তার পুরো পরিবার দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তার ২ ছেলে এবং ১ মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে খুলনা জেলা শহরে ওষুধের দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে, বাকি মেঝো ছেলে অমৃত চন্দ্র (১৪) বেনাপোল বাজারে মোবাইল দোকানে কাজ করে ও মেয়ে চন্দনা চক্রবর্তী (১১) ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। ছেলে-মেয়ে দুইজন বাপ-মায়ের সাথে বেনাপোলের ঐ বাসায় থাকে।
জোস্না চক্রবর্তী'র বর্তমান ঠিকানা:-
স্বামী:- মান্দার চক্রবর্তী (পুরোহিত, ছোট আঁচড়া শিব মন্দির) গ্রাম:- বেনাপোল পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ছোট আঁচড়া (শিব মন্দির প্রাঙ্গণ), থানা:-বেনাপোল পোর্ট, শার্শা, যশোর। তার স্থায়ী ঠিকানা:- পিতা- মৃত কালী দাস চক্রবর্তী, সাং-হোসেনপুর, থানা:-আশাশুনি, জেলা:-সাতক্ষীরা।
জোস্না চক্রবর্তীর স্বামী মান্দার চক্রবর্তী তার স্ত্রী'র নিখোঁজের ব্যাপারে নিজে বাদী হয়ে ২৯/১২/২০২২ ইং তারিখ বেনাপোল পোর্টথানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ নামা দায়ের করেন।
অভিযোগ পত্রে জানা যায়, ২৮/১২/২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে ছেলে অমৃত চন্দ্র বাসা থেকে বেরিয়ে কাজে চলে যায়, ঠিক ১০ টার দিকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য মান্দার চক্রবর্তী তার ছোট মেয়ে চন্দনা চক্রবর্তীকে নিয়ে বাড়ীর বাইরে যায়, সেখান থেকে তাকে স্কুলে রেখে আসে, স্কুল ছুটি শেষে বাড়ী এসে তার মাকে দেখতে না পেয়ে সকলকে জানাতে থাকে, পরে সংবাদ পেয়ে মান্দার চক্রবর্তী বাসায় এসে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিতে থাকে, কিন্তু জোস্না চক্রবর্তীকে আজও অবধি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে মন্দিরের সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, সকাল ১০'৪৫ মিনিটের দিকে জোস্না চক্রবর্তী বাসা থেকে বের হয়ে পূর্বদিকের রাস্তা দিয়ে বাড়ির বাইরে যায়, তার স্বামী বলছে, হাতের বালা, গলার হার এবং কানের দুল সহ প্রায় আড়াই ভরি স্বর্ণের গহনা তার পরনে ছিল।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, জোস্না চক্রবর্তীর নিখোঁজের অভিযোগ আমরা পেয়েছি, পুলিশ জরুরী তল্লাশী অভিযানে নেমেছে, সিসি ক্যামেরা এবং মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।