• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’র প্রভাব বাংলাদেশে : বাড়লো সতর্ক সংকেত


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৪, ২০২১, ৪:১৬ অপরাহ্ন / ২০৪
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’র প্রভাব বাংলাদেশে : বাড়লো সতর্ক সংকেত

বিশেষ প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ ৮০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে থাকলেও এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘ (বজ্র মেঘ) সৃষ্টি হচ্ছে। শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টিও। সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় সতর্ক সংকেত বেড়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর গুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে রোববার দুপুর নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার পুরি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এরপর আরও দুর্বল হয়ে উড়িষ্যা উপকূল ধরে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে আসবে ‘জাওয়াদ’। তখন হয়তো এটি শক্তি ক্ষয়ে নিম্নচাপ বা সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা। জাওয়াদ’র প্রভাবে রবি ও সোমবার উপকূলীয় এলাকা ছাড়াও ঢাকায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৮) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে।