
আজিজুল ইসলামঃ যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা দারুচ্ছালাম হাফেজিয়া নুরানি ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্র নয়ন নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। মৃত্যুর আগে সে তার বাবা মায়ের কাছে এমনটি অভিযোগ করে বিচার দাবী করে গেছেন। গত ৮ মে রাতে তাকে নির্যাতন করা হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তারা এটাকে দুর্ঘটনা বলে প্রচার করেছেন। এ ঘটনায় শার্শা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ তার নির্যাতনের পর মাদ্রাসায় থাকা বাক্স ভাংচুর করা হয়। মাহিম মৃত্যুর আগে তার নির্যাতনের কথা পরিবারের কাছে জানিয়ে বিচার দাবী করেছে বলে জানান স্বজনেরা। এই ঘটনার শুষ্ট বিচার দাবী করেন নিহতের পরিবার।পিতা মাতা ও স্বজনেরা প্রকৃত ঘটনা বের করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানান।
বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানিয়ে স্বজনেরা নয়নের চিকিৎসার জন্য প্রথমে যশোর ও পরে ঢাকায় নিয়ে যায়। ৩জুন ঢাকায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানায তারা।
তবে ঘটনাটির বিষয়ে ভিন্ন কথা বলছেন অভিযুক্তরাসহ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও অধ্যাক্ষ আব্দুল মজিদ। মাদ্রাসার দড়িতে গলায়ফাস লেগে সে আহত হয়েছে বলে দাবী করেন তারা।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হযেছে ,পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের পোষ্ট মটাম করা হয়েছে। রিপোট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় কেউ দোষী হলে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হোক দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে এমনটাই দাবী পরিবার ও স্থানীয়দের।
আপনার মতামত লিখুন :