• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জ দুদকে ওলামা লীগের ওসমান গনির বিরুদ্ধে অভিযোগ


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৯, ২০২৪, ৬:২৯ অপরাহ্ন / ১৮
গোপালগঞ্জ দুদকে ওলামা লীগের ওসমান গনির বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মাদ্রাসা ও দলীয় সাইন বোর্ড ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে জায়গা জমি দখল সহ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুদকে।

গোপালগঞ্জ জেলা দুদকে ওসমানের বিরুদ্ধে বেনামা একটি অভিযোগ দায়ের হয়, তাতে জানা যায়, মো. ওসমান গনি পিতা- ছাকেন শেখ, চর সোনাকুড়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ ছোট বেলা থেকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছে। তার কোন ব্যবসা বা আয়ের কেমন কোন উৎস ছিলোনা। কয়েক বছর পূর্বে ওসমান গনি গোপালগঞ্জ পৌরসভাধীন ১৩ নং ওয়ার্ডের, চর সোনাকুড় মৌজার দাগ নং-১৪৪ এ একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ওই মাদ্রাসাকে পুঁজি করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে নামকরণ করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে অনুদান গ্রহণ করেন বলে জানাগেছে। এছাড়া তিনি অর্থের বিনিময়ে নিজের নাম সহ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ওসমান গনি নিজেকে গোপালগঞ্জ জেলা ওলামা লীগের সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন। সে মাদ্রাসার নামে টাকা এনে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে গড়েছে টাকার পাহাড়। সে যে মাদ্রাসার নামে টাকা উঠায় তাও সম্পূর্ণ আইন বিরোধী কারণ তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটির জায়গা ও বিল্ডিং এখনো তার নিজের নামে। শর্ত মতে অনুদান নিতে বা পেতে হলে মাদ্রাসার নামে এই সম্পত্তি দান করে তারপর মাদ্রাসার নামে টাকা তুলতে পারবে সে। এ ক্ষেত্রেও সে প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা করেছে । সে মাদ্রাসার নামে বহু টাকা প্রতারণা করেছে, বর্তমানে সে গোপালগঞ্জ শহরের কয়েক জায়গায় ২৫ লক্ষ থেকে ৮০ লক্ষ ও তারও বেশি টাকার জমি ক্রয়ের জন্য নিজের নামে বায়না করছে বলে জানা যায়। গোপালগঞ্জের স্থানীয় নেতা, কর্মকর্তা সহ ব্যক্তিবর্গের সংশ্লিষ্টতা ওসমান গনির সাথে আছে বলে অভিযোগকারী অভিযোগে উল্লেখ্য করেন

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এর আগেও এই ওসমান গনির বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের বার বার নির্বাচিত এমপি জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল হক সিকদার রাজু এর সাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্লিন হার্ট অপারেশনের সময়ে পালিয়ে বেঁচে যায় সে। অভিযোগের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মীদের এক ছায়া তদন্তে জানা যায়, মাদ্রাসার ও এতিম খানার নামে ও ওলামা লীগের সাইনবোর্ডের আড়ালে নিজ আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে চর সোনাকুর সহ সমগ্র গোপালগঞ্জে গড়েছে মাদকের সাম্রাজ্য। তার ভাগিনা গোপালগঞ্জ জেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল। ওসমানের বিরুদ্ধে গাড়ির চ্যাচিস চুরির ও নারী কেলেংকারীরও অভিযোগ আছে বলে এলাকা বাসীরা জানান। প্রতারনা করে টাকা আয় করা তার ব্যবসা । সে যে মাদ্রাসার নামে অনুদান গ্রহন করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের জায়গাটা মাদ্রাসার নামে না করে তার নিজের নামেই রয়েছে। চতুরতার সহিত মাদ্রাসার নামে আদায় করা অনুদানের অর্থ দিয়ে সে ২য় তলা ভবন নির্মাণ করে, যে কোন মুহুর্তে মাদ্রাসার সাইন বোর্ড খুলে ফেললেই সকল স্থাপনা তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে যাবে। কিছুদিন পূর্বে তিনি গোপালগঞ্জের ব্যাংকপাড়া নিবাসী মরহুম সিরাজ মিয়ার ছেলে রনি মিয়ার কাছ থেকে জায়গা ক্রয়ের জন্য বায়না বাবদ ৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকার দিয়ে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ও মামলার ভয় দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করে নেন বলে জানান ভুক্তভোগী। ধর্ম বিক্রি করা ব্যবসা করে নিজের ও পরিবারের সম্পত্তি গড়ছে এদের কোন স্থান নেই ইহকালে ও পরকালে। ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দানকারী ও লেবাসধারী প্রতারক ওসমান গনির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা ও সচেতন মহল।