নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারন সম্পাদক জি.এম সাহাব উদ্দিন আজম এর নামে সেনা বাহিনী কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিউ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর হিল্টু।
এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপ-প্রচার সম্পাদক আশিকুজ্জামান চৌধুরী শিমুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম মনির আহমেদ ননী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শাহাবুদ্দিন হিটু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারন সম্পাদক আমীর হামজা, সদর থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইমরান মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির, সাধারন সম্পাদক আলিমুজ্জামান বিটু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহেদ মাহামুদ বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ, শহর যুবলীগের আহবায়ক জামাল, সহ দলের সকল নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ আগস্ট সারা দেশের ন্যায় গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুরে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ন মিছিল বের করেন। মিছিলটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে আসতেই বাংলাদেশ সেনা বাহিনী বাঁধা দেয়। বাঁধায় সাধারণ জনগন উত্তেজিত হলে দু'পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সেনা বাহিনীর গুলিতে শিশু সহ আহত হয় কয়েক জন। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা সেনা সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে ২টি রাইফেল ও ৬টি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নেয় এবং সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরবর্তীতে, এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছিনিয়ে নেওয়া দু'টি অস্ত্র ও ৩টি ম্যাগাজিন পুলিশের মাধ্যমে ফেরত দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে একটি কুচক্রি মহল ক্ষমতাচ্যুত ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করেন। তার পর থেকে শুরু হয় সারা দেশে আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থীত নেতা কর্মীদের ওপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। পরে বিক্ষোভ সমাবেশটি চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয় সেখানে বক্তারা বক্তব্য রাখেন