• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন, অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের মিছিল


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১০, ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন / ২৭
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন, অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের মিছিল

বিশেষ প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গোপালগঞ্জে শনিবারও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

এ বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে এদিন বিকেলে গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে হামলা করে তাতে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় এক সেনা সদস্যের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে মিছিল করেন বিক্ষোভকারীরা।  এ ঘটনায় পাঁচ সেনা সদস্যসহ সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ও জালালাবাদ এবং কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।  বিকেল ৩ টার দিকে ওই তিন ইউনিয়নের নেতারকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুরে একত্রিত হন। পরে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে মহাসড়কের দুই পারে যানবহন আটকা পড়ে।

খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের দেখে ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। এর এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সেনা সদস্যদের মারপিট শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এতে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এক শিশুসহ দুজন ও পাঁচ সেনা সদস্য আহত হন।

পরে সেনা সদস্যরা দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সে সময় এক সেনা সদস্যের কাছ থেকে একটি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে মিছিল করতে থাকেন তারা। পরে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র প্রথমে গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এবং পরে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের লাচ্চু শরীফের কাছে জমা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজন নিজামকান্দি গ্রামের সফি কাজির ছেলে নূর কাজি (১০), তবে সেনা সদস্যসহ অপর ৬ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।