নিজস্ব প্রতিবেদেক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের পল্লী মঙ্গল ইউনাইটেড একাডেমী স্কুল ও কলেজের সাবেক সহকারী শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম কাজী (রফিক মাষ্টার) এর আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম কাজুলিয়া ইউনিয়নের আনসারী পাড়া গ্ৰামের মৃত মোজাম কাজীর ছেলে। তিনি ২০২২ সালে শিক্ষকতা হতে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি পূর্ব থেকে শিক্ষাকতার পাশাপাশি গ্ৰামের শালিস দরবার ও মাতব্বরি করে আসছেন।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আপত্তিকর ফোনালাপটি এলাকার বিভিন্ন মানুষের হটসএ্যাপ ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ে কাজুলিয়া বাজারসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া মহল্লাসহ চায়ের দোকানে দোকানে সমালোচনার ঝড় উঠে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপ থেকে শোনা যায় পল্লী মঙ্গল ইউনাইটেড একাডেমী স্কুল ও কলেজের সাবেক সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম কাজী ওই মহিলাকে গভীর রাতে তার কাছে যেতে বলে এবং তার শারীরিক চাহিদা মেটানোর প্রস্তাব দেয়। তার স্ত্রী তার বিছানায় থাকেনা বলেও জানায়। না গেলে মেয়ের শালিসিতে ঠকিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখান।
অপরদিকে সাবেক শিক্ষকের দ্বারা কুপ্রস্তাবের শিকার হওয়া কাজুলিয়া ইউনিয়নের আনসারী পাড়া গ্ৰামের আসমা বেগম নামের এক নারী গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অনৈতিক ঐ শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রফিকুল ইসলাম কাজী গ্ৰামের মাতব্বর সব সময় শালিস দরবার করেন। তিনি সম্পর্কে আমার চাচা হয়, আমার মেয়ে জামাইয়ের পারিবারিক ঝগড়া ঝাটি ও মামলা মিটানোর জন্য তাকে অনুরোধ করি তিনি আমার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে মোবাইল ফোনে আমার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করার কুপ্রস্তাব দেয়। আমায় গভীর রাতে তার কাছে যেতে বলে। না গেলে শালিসি না করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসী ও ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শাহীন মোল্লার সাথে কথা বলে জানা যায়, রফিক মাষ্টার এলাকার একজন প্রভাবশালী ও শিক্ষিত মানুষ। গ্ৰামের বিভিন্ন ধরনের শালিস মিমাংসা করায় তার বড় ধরনের ভূমিকা থাকে। তিনি এই সুযোগে বিচার শালিস পক্ষে করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নিয়ে থাকেন।
পাশাপাশি উঠতি বয়সী মেয়ে ও সুন্দরী অসহায় মহিলাদের কুপ্রস্তাব দেয়। পাড়ায় পাড়ায় কোন্দল সৃষ্টি করে রাখেন এছাড়াও গ্ৰামের সহজ সরল মানুষের এন আই ডি কার্ড ও ছবি দিয়ে ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন তুলে নিজে ভোগ করেন এভাবেই রফিক মাষ্টারের লোনের জালে জড়িয়ে পড়ছে এলাকার সহজ সরল সাধারণ মানুষ।
কাজুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আউব আলী ফকির এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম তার বিভিন্ন প্রভাবশালী আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ করতে নিষেধ করেন।