• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দাবিদার নাসিমা আক্তার রুবেল


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন / ৬৯
গোপালগঞ্জে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দাবিদার নাসিমা আক্তার রুবেল

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, গোপালগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: মরহুম আবুল হাসেম সমাদ্দারের কন্যা নাসিমা আক্তার রুবেল ( বি.এ) গোপালগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য গোপালগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনের এম.পি পদে মনোনয়নের দাবিদার। তিনি ও তার পরিবার জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভ্যান গার্ড হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নাসিমা আক্তার রুবেল।

তিনি ১৯ জুন ১৯৬৯ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: আবুল হাসেম সমাদ্দার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুন্নেছা সমাদ্দারের সংসারে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সাবেক গোপালগঞ্জ মহাকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি, একই সাথে গোপালগঞ্জ রিলিপ কমিটি, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গোপালগঞ্জ মহাকুমার প্রধান সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ প্রাপ্তির পর গোপালগঞ্জ ট্রেজার হতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করেন। এরপর হরিদাসপুর ও মানিকদা হতে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।
নাসিমা আক্তার রুবেলের পিতাকে জেলার গুণিজন সংবর্ধনা, গুণিজন সমাজ সেবা ও বিশেষ ব্যক্তিত্বে ভূষিত করেন। নাসিমা আক্তার রুবেলের বড় ভাই লুৎফর রহমান সেন্টু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যাকান্ডের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাএলীগ পূর্ণ:গঠন ও সংগঠিত করার লক্ষ্যে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।

১/ ১১ এর পূর্বে ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস, রাজনীতির আদর্শের সৈনিক হয়ে স্বপক্ষে সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন তিনি। নাসিমা আক্তার রুবেলের মেঝ ভাই গোপালগঞ্জ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সংগঠন সমূহের মুজিব সৈনিক ও বর্তমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য। নাসিমা আক্তার রুবেলের ছোট ভাই গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের ১নং সদস্য ও ৭নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর, যুবসমাজের আইকন ও মুজিব আর্দশের একজন সৈনিক।

নাসিমা আক্তার রুবেল গোপালগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায়, সহকর্মীদের নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামে পায়ে হেঁটেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ভ্যান গার্ড হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সকলের ভালবাসায় পরিপূর্ণতা অর্জন করে চলেছেন।

নাসিমা আক্তার রুবেল (বি.এ) গোপালগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। নাসিমা আক্তার রুবেল গোপালগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায়, গ্রাম থেকে গ্রামে পায়ে হেঁটে সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ভ্যান গার্ড হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সকলের ভালবাসায় পরিপূর্ণতা অর্জন করে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সুখ দুঃখের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন। নাসিমা আক্তার রুবেল গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক। আজ আমার নেত্রী দিনরাত সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন আমি তার ভ্যান গার্ড হয়ে পাশে থেকে দেশের উন্নয়ন তুলে ধরছি, আপনারা পাশে থেকে এই সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবেন। নাসিমা আক্তার রুবেল জেলার তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাসিমা আক্তার রুবেল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচার-প্রচাররনায় কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় রাতদিন গণসংযোগ করেছেন। এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে দলীয় ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য শিশু কিশোর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, দুঃস্থ, অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য সেবার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। সকল ধর্মের মানুষের সাথে সব সময় তিনি যোগাযোগ রাখেন। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। নাসিমা আক্তার রুবেল বলেন ১৯৬৬ সালের মধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানের গতিশীল নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ‘ পূর্ব’ পাকিস্তানের জনগণের জাতীয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করল যে জনসাধারণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক কর্মসূচির পেছনে রয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে পাকিস্তানী বাহিনী বাঙালি জনগণের ওপর বিশ্বাসঘাতকের ন্যায় নিষ্ঠুর পৈশাচিকতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল।সংগঠিত হলো ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ নৃশংস গণহত্যা এবং তা বিশ্ববিবেককে গভীরভাবে নাড়া দিলো। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যা কান্ডের পর আজ তারই উওরসুড়ি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন। এই দেশ আমার, আপনার , আমাদের সকলের। তাই আমি চাই পিতা মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী যা তিনি লিখে গিয়েছেন, তাঁর জীবনের কথা আজ তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাল ধরেছেন বাংলাদেশ গড়ার আমি তার সামান্য একজন সৈনিক হয়ে মা, মাটি মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই শেখ হাসিনার ভ্যান গার্ড হয়ে গোপালগঞ্জ মহিলা সংরক্ষিত এমপি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।