নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ নং উরফি ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজীর বিরুদ্ধে মসজিদের নামে টিআর বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
উরফি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মধুপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসল্লিদের সাথে যোগাযোগ করে জানাগেছে মধুপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উন্নয়ন বাবদ ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এমপি/১ম -৪১ গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি/আর/খাদ্যশস্য/নগদ টাকা) কর্মসূচি প্রকল্প বাস্তবায়নে নগদ ৪৭,৫০০/= (সাত চল্লিশ হাজার পাঁচ শত) টাকা তুলে নেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজী। পরবর্তীতে দীর্ঘ দুই বছর অতিবাহিত হলেও টি.আর বরাদ্দের সেই অর্থ মধুপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির নিকট জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। এতে ওই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক কাজী সেলিম আক্তার সহ একাধিক মুসল্লী আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, আমরা বিষয়টি প্রথমে জানতাম না পরে জেনেছি এবং চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেছি। চেয়ারম্যান বরাদ্দের অর্থ দিবো দিবো করে আর দেননি। আমরাও লজ্জায় আর চাইনি। পরবর্তীতে, চলতি বছর পবিত্র ঈদুল আযহা’র পূর্বে চেয়ারম্যান নিজেই লোক মারফত বলেছিলেন কুরবানীর আগেই তিনি সমুদয় অর্থ ফেরত দিবেন। কিন্তু পরবর্তীতে আর দেননি। মুসল্লীরা আক্ষেপ করে বলেন, মানুষ পরকালের কথা চিন্তা করে মসজিদ, মাদ্রাসায়, কবরস্থানে বেশি বেশি করে দান করেন। অথচ আমাদের চেয়ারম্যান দুই বছর পার হলেও মসজিদ উন্নয়নের বরাদ্দের অর্থ জমা দেননি। তারা আরো বলেন, সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে এবং সাংবাদিকরা এ বিষয়ে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করার খবরটি চেয়ারম্যানের কানে পৌঁছায়। পরে তিনি তড়িঘড়ি করে গতকাল ৫ হাজার টাকা এবং ৫’শত ইট পাঠিয়েছেন বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজীর সাথে 017…613 নম্বরে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রয়েছি। তিন চার দিন পর ফিরবো। কমিটি আমার কাছে বরাদ্দের অর্থ চায়নি বলে আমি দেই নাই। আর মসজিদ, মাদ্রাসায় মানুষ দান করে। আমিও দান করি। পারলে আমার গ্রামে গিয়ে আপনারা শুনে দেখতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :