
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জে বাস ও নসিমনের সংঘর্ষে তিন কাঁচামাল ব্যবসায়ী নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, মোটর সাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষে বাব ও ছেলে আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাশুর ও গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের উত্তর ভেন্নাবাড়ীতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ের পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো: শরিফুল ইসলাম দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আন্দারকোটা গ্রামের দেবু অধিকার ছেলে দীনেশ অধিকারী (৫৫), সন্তোস বৈরাগীর ছেলে সঞ্জয় বৈরাগী (৩৫) ও নরেন বৈরাগীর ছেলে মিহির বৈরাগী (৪৫)।
আহতরা হলেন, পথিক বৈরাগী (৪০) এবং উত্তর ভেন্নবাড়ী গ্রামের শংকর বালা (৪৫) ও তার ছেলে রুদ্র বালা (৭)। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ের পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো: শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সদর উপজেলার তালা বাজারে কাঁচামাল বিক্রি শেষ করে চার ব্যবসায়ী নছিমনে করে সদর উপজেলার আন্দারকোটা গ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
এ সময় নসিমনটি সোনাশুরে পৌঁছালে বিপরীতমুখী খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ফাল্গুনী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে নছিমনটি ছিটকে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ী ও নসিমন চালক দিনেশ অধিকারী নিহত হন।
পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে অপর ব্যবসায়ী সঞ্জয় বৈরাগী ও মিহির বৈরাগীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের উত্তর ভেন্নাবাড়ীতে মোটর সাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালক শংকর বালা (৪৫) ও তার ছেলে রুদ্র বালা (৭) মারাত্মক আহত হয়েছে। তাদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। #
আপনার মতামত লিখুন :