কে এম সাইফুর রহমান গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত ত্যাগ ও সুন্দরের সাহসী প্রতীক মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার কর্মসূচীর শুরুতে গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপ পরিচালক ডা. আবুল কাসেম মোহাম্মদ আনওয়ারুর রউফ সহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকতার্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত হয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা ও দুরুদ পাঠের মাধ্যমে ‘৭৫ -এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ তাঁর পরিবারে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায়, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
মোনাজাত শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সম্মেলন কক্ষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাহিদ ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, কমিউনিটি ক্লিনিক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তুলসী রঞ্জন সাহা, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষনা পরিষদের সহ সভাপতি ডা. মো. নুরুল হুদা লেলিন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা ট্রাস্টের সদস্য আহমেদ আল কবির, ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার এবং কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের ন্যাশনাল কো অর্ডিনেটর মিসেস শাহানা পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী বলেন, জাতির জনকের জীবদ্দশায় ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন সকল কাজের অনুপ্রেরণা। তিনি আরো বলেন, জাতির জনক কারাবন্দি অবস্থায় সকল পারিবারিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দায় দায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে পালনের জন্য তথা বাঙালী জাতির সুদীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্বক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট জনের কথায় মহীয়সী এই নারীর কথা বারবার উঠে এসেছে। ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব কেবল একজন সাবেক রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মীনিই নন, বাঙালীর মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরনাদাত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :