নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ না পেয়ে কুশলী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদারকে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা আর সমালোচনার ঝড়। এ ঘটনায় ওই ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গলবার সকালে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তিনি কুশলী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ওই ইউনিয়নের খালেক বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, গত ৩ মাস ধরে কুশলী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত সুপেয় পানি ঠিকমতো পাচ্ছিলো না ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। অথচ পানির বিল বাবদ প্রতি মাসে রশিদের মাধ্যমে ৫০০ টাকা করে ওই সব বাসিন্দাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদারকে অভিযুক্ত কামরুল ইসলামসহ এলাকাবাসী একাধিকবার জানালেও কোন সমাধান হয়নি।
পরে এর জের ধরে গত রোববার (৩০ এপ্রিল) পানি সরবরাহ নিয়ে সন্ধ্যায় খালেক বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডা হয় কামরুল ইসলামের। এক পর্যায়ে পায়ের জুতা খুলে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারতে শুরু করেন কামরুল। তখন স্থানীয়রা মারামারি ঠেকিয়ে দিলে ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাড়ি চলে যান।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তার স্ত্রী লাইজু বেগম বলেন, চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা করা হয়নি। গত তিন মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনে মাধ্যমে সরবরাহকৃত পানি আমরা পাচ্ছি না। চেয়ারম্যানের সাথে এই নিয়ে কামরুলের বাকবিতন্ডা হয়েছে। আর এ ঘটনার পর গত সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের ভাই জাহাঙ্গীর সর্দারের ছেলে হৃদয়সহ ১০/১৫ জন লোক আমাদের দোকানের সামনে থাকা কয়েকটি ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুর করে। এছাড়া আমার স্বামী ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ ব্যাপারে কুশলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সর্দার দোকান ব্যানার ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় আমি গাড়ি থেকে নেমে এক আওয়ামী লীগ নেতার কথা বলছিলাম। হটাৎ কামরুল জুতা দিয়ে আমার পিছনে আঘাত করে চলে যায়। পরে আমিও বাড়ি চলে আসি। এছাড়া আমার লোকজনকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছি। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে বিভিন্ন রকম মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে পানির সরবরাহ মিটারে সমস্যা হয়েছে। ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে নতুন মিটার কেনা হয়েছে। এখন পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান আজ মঙ্গলবার (০২ মে) সকালে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :