• ঢাকা
  • সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের খুনিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত 


প্রকাশের সময় : মে ১৬, ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন / ৭৩
গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের খুনিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত মোঃ অসিকুর ভূইয়ার খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু’র উক্ত পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া বাস স্ট্যান্ডে এ কর্মসূচির আয়োজন করে চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নবাসী সহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবিসহ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা অস্ত্র উদ্ধার ও দ্বিতীয় মেয়াদের নিয়োগপ্রাপ্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুকে উক্ত পদ থেকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের ন্যায় এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য গেজেট ভুক্ত (৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪) চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুল সহ ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় জড়িত সকল দোষীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

এ সময় নিহতের বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনিও তো ভাই হারা এক বোন আদরের ছোট্ট ভাই শেখ রাসেলকে হারিয়ে আপনার কেমন লেগেছিলো নিহত অসিকুর ভুঁইয়াও আমাদের খুব আদরের ছোট ভাই ছিলো। আমরা গরীব, আমরা খেটে খাই, সে দেড় বছর আগে বিবাহ করেছে, তার চার মাসের একটা সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী ও সন্তানের দায়ভার কে নেবে? তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি আমার ভাইয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হোক।

এর আগে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কের দুই পাশে টায়ার জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন সময়ে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লার নেতৃত্বে জেলা-উপজেলা ছাত্রলীগ, গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মোঃ আলিমুজ্জামান বিটু’র নেতৃত্বে পৌর আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ শাহাবুদ্দিন হিটুর নেতৃত্বে জেলা যুবলীগ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জায়েদ মাহমুদ বাপ্পির নেতৃত্বে যুবলীগ, পৌর কাউন্সিলর মোঃ রনি হোসেন কালু, শফিকুর রহমান শুক্তি, মোঃ শরিফুল সিকদার, চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাদিউজ্জামান মোল্লা জাবেদসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে এ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি ও আনসার ব্যাটালিয়ানের বিপুল সংখ্যক সদস্য ও জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবেদ আলী ভূঁইয়া, সাবেক যুবলীগ নেতা শেখ রাসেল, চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্মী ফরিদ আহমেদ, নিহত অসিকুর ভূইয়ার বোন সহ আরো অনেকে। পরে বি এম লিয়াকত আলী ভূইয়া আগামী রোববারের (১৯ মে) মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এপিএস টু গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর প্রত্যাহার কার্যকর না হলে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি দিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এদিকে উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত নবনির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিয়নে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত ঘটনায় জামাত-বিএনপি ও তার দোসরদের দায়ী করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।