নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের পর তাকে ফেলে যাওয়ার সময় চার ছিনতাইকারীকে আটক করে গনধোলাইয়ের দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এ সময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকালে মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দী গ্রাম এ ঘটনা ঘটে।
মুকসুদপুর থানার ওসি (তদন্ত) খন্দকার আমিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দুই ছেলে মেহেদি হাসান (২০) ও মিজান শরীফ (২৫), মাদারীপুর সদরের ব্রাহ্মন্দি গ্রামের মৃত সিরাজ হাওলাদারের ছেলে ফেরদৌস হাওলাদার (৩৫) এবং টেকনাফের নতুন কল্যানপাড়া এলাকার সাব্বির আহম্মেদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২)।
ছিনতাইয়ের শিকার ওই ব্যক্তির নাম ইমদাদুল হক শিপন। তিনি নগদের কাশিয়ানি উপজেলা ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
নগদের ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওসি (তদন্ত) খন্দকার আমিনুর রহমান জানান, নগদের ওই কর্মকর্তা ইমদাদুল হক শিপন ব্যাংক থেকে আট লাখ টাকা তুলে কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন দোকানে লেনদেন করতে বের হয়েছিলেন। ঘটনার আগ পর্যন্ত তিনি চার লাখ টাকা লেনদেন করেন।
বাকি টাকা লেনদেন করতে তিনি কাশিয়ানীর শিনতা গ্রামে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ছিনতাইকারীরা প্রাইভেটকার দিয়ে তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় ওই কর্মকর্তা বাইক নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রাইভেটকারে গিয়ে ধাক্কা দিলে তিনি আহত হন।
পরে তাকে চিকিৎসার কথা বলে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ছিনতাইয়ের পর মুকসুদপুর উপজেলার নয়াকান্দী গ্রামে ফেলে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তাদের আটক করে গনধোলাইয়ের দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় জনতা।
তিনি আরা জানান, অভিযুক্ত ওই চারজনকে আটকের পর তাদের কাছ থেকে পনেরো হাজার টাকা ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নগদের ওই কর্মকর্তার তথ্যমতে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার মত ছিনতাই হয়েছে। তদন্ত শেষে বলতে পারবো তার কাছ থেকে সঠিক কত টাকা ছিনতাই হয়েছে।