শাবনুর খানম, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে চাচার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ভাতিজি ও ভাবী খুন হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চাচা হারুন মিনা আপন ভাতিজী লামিয়া ও ভাবী বিউটি বেগমকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল
হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ভাতিজী লামিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাবি বিউটি বেগমও মারা যায়।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো, আনিচুর রহমান জানান, জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে দুর্গাপুর গ্রামের হারুন মিনা তার আপন ভাতিজী লামিয়া ও ভাবী বিউটি বেগমকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে তারা হাসপাতালে মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে এবং অপরাধীকে গ্রেফতারে পুলিশে অভিযান চলছে।
নিহত বিউটি বেগম সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের টুকু মিনার স্ত্রী ও নিহত
লামিয়ার বাবা।
উল্লেখ্য ভাতিজী লামিয়া সন্ধ্যা পরে তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। দীর্ঘ সময় কথা বলার এক পর্যায়ে চাচা হারুন মিনা তার ঘরে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র (কাতরা) দিয়ে কোপাইতে থাকে, মেয়ের চিৎকার শুনে মা বিউটি বেগম ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্য জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভাতিজী লামিয়াকে মৃত্যু ঘোষণা করে এবং ভাবী বিউটি বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯ টার দিকে মারা যায়।