• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জে কাশিয়ানীর মহেশপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরকারি ঘর দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৮, ২০২১, ৩:৩২ অপরাহ্ন / ২৫১
গোপালগঞ্জে কাশিয়ানীর মহেশপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরকারি ঘর দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ

বাহাউদ্দীন তালুকদার :গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ১ নং মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১৪টি হতদরিদ পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ৪২ হাজার টাকা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মহেশপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চকবন্দলা গ্রামের ১. জুন্নু মোল্লা, ২. আবু বক্কর শেখ, ৩. ইমামুল শেখ, ৪. লিজা শেখ, ৫. আব্দুর রহমান শেখ, ৬. রকন তালুকদার, ৭. জুয়েল তালুকদার, ৮. কালা শেখ, ৯. সাবিনা আক্তার, ১০. সাদ্দাম ঠাকুর, ১১. নিপেন পরা মানিক, ১২. রাসেল ঠাকুর, ১৩. মিজানুর শেখ, ১৪. জাহাঙ্গীর শেখ এর কাছ থেকে সর্বমোট ৪২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। গত ৪ বছর আগে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যানের দলীয় কর্মী চকবন্দলা গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন শেখের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সত্তার শেখের মাধ্যমে চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ এ টাকা নেন। এখন ঘর দেওয়া দূরের কথা টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।

ভুক্তভোগী জুন্নু মোল্লা বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ। আমি ৪ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা ঘর পাওয়ার পরে দিয়ে দিবো। ৪ বছর পার হয়ে গেল; আজও আমার ঘর দেওয়ার নাম নেই। টাকা ফেরত ও দেইনা চেয়ারম্যান। আমার ঘর দরকার নেই, এখন টাকা ফেরত চাই।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল সত্তার শেখ বলেন, মহেশপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ গত ৪ বছর আগে বলেছেন সরকারি কিছু সরকারি ঘর আসবে তোমার এলাকার কিছু গরিব মানুষের কাছ থেকে ২ হাজার ৩ হাজার টাকা নিয়ে দাও আর ঘর পাওয়ার পরে সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে। সেই কথার উপর ভিত্তি করে ১৪ জনের কাছ থেকে সর্বমোট ৪২ হাজার টাকা দিয়েছি। গত ৪ বছর হয়ে গেলো কেউই ঘর পাইনি। কিন্তু সরকারি ঘর দেওয়া তো দুরের কথা টাকা ও ফেরত দেইনা। আমি যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান কে দিয়েছি তারা আমার কাছে প্রতিদিন টাকা চাচ্ছে। আমি এই ঝামেলা থেকে মুক্তি চাই।

মহেশপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন লোকের কাছ থেকে সরকারি ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেইনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার আমার নির্বাচন করেছেন এবং সে আমার কর্মী। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাতার কার্ড করার কথা বল্লে আমি করে দিয়েছি। কিন্তু আমি জানতে পেরেছি সে তাদের কাছ থেকে ভাতার কার্ড বাবদ টাকা নিয়েছে। তার জন্য তাকে আমার কাছ থেকে সরিয়ে দিয়েছি। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। আমি লিখিত অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।