কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ আনিচুর রহমান নামে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অডিট অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যাক্তি গোপালগঞ্জের উলপুর ইউনিয়নের খুচরা সার ও বীজ ব্যবসায়ী গাজী দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে মোট ২১,২৫০/ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ব্যবসায়ী দেলোয়ার গাজী জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা বারোটার দিকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের অডিট অফিসার পরিচয় দিয়ে আনিচুর রহমান আমার সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বার ০১৩০১৬৪১৪০৮ থেকে যোগাযোগ করে। প্রথমে তিনি অসহায় ও সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫ জন কৃষকের নাম, পিতার নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র চায় স্বল্প মূল্যে সাহায্য হিসাবে সার ও বীজ দেওয়া হবে এমন আশ্বাস দিয়ে এর কিছুক্ষণ পর তিনি আবার আমার মোবাইল ফোনে কল করে বলেন, আপনি যদি চান তবে অসহায় ও কৃষকের সংখ্যা বাড়ানো যাবে যদি বিশ জন কৃষকের জন্য টাকা বিকাশ করে দেন। আমি সরল বিশ্বাসে তাকে মোট ২১,২৫০/ টাকা তার দেওয়া একটি নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে প্রেরন করি। টাকা পেয়ে তিনি ওই দিন বিকালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির গোপালগঞ্জ ইউনিট কার্যালয়ের গুদাম হতে সার ও বীজ প্রেরন করা হবে বলে জানান।
কিন্তু বিকালে তিনি সার ও বীজ না পাঠালে আমার সন্দেহ হয়। এরপর আমি তাকে বারবার ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। ওই নাম্বারে কল দিলে ফোন বন্ধ বলে। আমি কোনো উপায় না পেয়ে পরবর্তীতে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাফর আমাকে টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শুক্রবার পর্যন্ত আমি টাকা ফেরত পাইনি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য গোপালগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট অফিসার বিপ্লব বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। শুনেছি গোপালগঞ্জ সদরসহ মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের কিছু প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু পুলিশের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে সেহেতু পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে প্রতারক ও অর্থ আত্মসাৎকারীকে আটক করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারে বা ওই প্রতারক আনিচুরকে গ্রেফতার করার তৎপরতা চলছে কিনা তা জানতে চাইলে বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ি কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চলছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :