• ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলি জমি ভরাট করার অভিযোগ গণপূর্তের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৩, ২০২৩, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন / ৩৩
গোপালগঞ্জে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলি জমি ভরাট করার অভিযোগ গণপূর্তের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭নং উরফি ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামের বড়বাড়ি এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ফসলি জমি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। জানাযায়, বর্তমানে তিনি অফিস সহকারী হিসাবে গোপালগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। সরকারি দপ্তরে চাকুরী করে সরকারের আইন ভঙ্গ করছেন তিনি।

এর আগে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আইন- শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বার বার মাদক ও অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের ঘোষনা দিলেও বাস্তবে তার কোন কার্যকরি ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। গোপালগঞ্জ প্রশাসনের নজরের সামনেই চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী প্রায় ৫ শতাধিক ড্রেজার মেশিন। প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে এ সকল অবৈধ ড্রেজার মেশিন চলছে বলে ধারণা করেন জেলার সচেতন মহল ও পরিবেশ বিদরা। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সাধারণ ড্রেজার ব্যবসায়ীরা সরকারের নিয়ম ভঙ্গ করে বালু উত্তলোন করছে নির্ভয়ে। অন্যদিকে দেখা যায় গোপালগঞ্জ জেলার উরফি ইউনিয়নে জেলা গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন নিজেই সরকারের নিয়ম ভঙ্গ করে ফসলি জমি ভরাট করছে। জাহাঙ্গীরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জায়গাতে আমি বালু ভরাট করছি এতে আপনাদের সমস্যা কোথায়? আমি তো ড্রেজার ব্যবসা করি না। সে সাংবাদিকদের এটাই বোঝাতে চায় যে, সরকারি লোকজন সব কিছুই করতে পারে। সাধারন মানুষের একটাই কথা সরকারের আইন যদি সরকারি লোকজন ভঙ্গ করে তাহলে সাধারণ মানুষের কি দায় পড়েছে সরকারের কাছে। গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দূর্গাপুর, কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ, ভাংগারহাট, টুঙ্গিপাড়ার জোয়ারে পাথরঘাটা, কাশিয়ানীর পুঁইশুর, হাতিয়ারা, ডোমড়াশুর, সিঙ্গা, সাতপাড়, সোনাডাঙ্গা সহ মুকসুদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বুক ফুলিয়ে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা করে যাচ্ছে প্রশাসনের চোখের সামনে। কৃষি জমি ও ভূমিধস রোধে দ্রুত এই সকল অবৈধ বালু উত্তোলন ড্রেজার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি পরিবেশবিদ ও সচেতন মহলের।