কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, সালিনাবক্স গ্রামের মাঝ দিয়ে কুমার নদী প্রবাহিত হয়েছে। গেরাখোলা ব্রীজের দক্ষিণ পাশে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. লায়েক শেখ নামের প্রভাবশালী এক ব্যক্তি।
অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য গোবিন্দপুর ইউনিয়ন তহশীলদার সমীয় বাবুর সাথে (০১৭১৩-৬০৯৬৫৪) মুঠো ফোনে জাতীয় সাপ্তাহিক মধুমতি কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদকের সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, আমার সাথে এসিল্যান্ড সারের কথা হয়েছে এবং তার নির্দেশে আমি সকালে ওই মেশিনের পাইপ খুলে ফেলেছি। এরপরও যদি তারা বালু উত্তোলন করে আমরা রাতে গিয়ে মেশিন অপসারণ করে জরিমানা করবো।
কিন্তু মধুমতি কন্ঠ পত্রিকার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন প্রতিনিধি রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান খোলা পাইপ জোড়া লাগিয়ে পুনরায় বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ওই চক্র। এ ব্যাপারে সে ইউনিয়ন তহশীলদারকে অবহিত করলে তিনি বলেন যে, এতো রাতে কোন কিছু করা সম্ভব না। মুকসুদপুর এসিল্যান্ডকে মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
পরে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি প্রতিনিধিকে জানান যে, তুমি ভুয়া খবর দিচ্ছো! কিন্তু সে বারবার বুঝাতে চাচ্ছেন যে, স্যার আপনারা সকালে পাইপ খুলে গেলেও রাতে আবার সব পাইপ জোড়া লাগিয়েছে এবং রাতেই বালু উত্তোলন করবে? নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে
বিপাকে রয়েছে নদীর তীরের এক পাশে থাকা রাস্তা-ঘাট ও ঘরবাড়ি। আরেক পাশে আবাদি জমি। উত্তর পাশে ঢাকা - খুলনা মহাসড়কের ব্রীজ। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত রামচন্দ্রপুর, দুর্গাপুর, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন সহ আশে পাশের গ্রামের অসংখ্য মানুষ চলাফেরা করেন। পাশেই মহেশপুর ইউনিয়নের কয়েকটা গ্রামের মানুষও এই পথে যাতায়াত করে। এই লায়েক শেখ প্রায়ই রাতের আঁধারে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে, বিশেষ করে সরকারি বন্ধের দিন গুলোতে সে এ অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে। তার সাথে আরো লোক জড়িত রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পাশে থাকা ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট নদী গর্ভে যেন বিলীন না হয় সে জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ওই এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।