• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৬ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পরকীয়ার জেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ন / ৫৩
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পরকীয়ার জেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ী স্বামী রুবেল সরদার (৩৫) কে চেতনা নাশক খাইয়ে ধারালো ব্লেড দ্বারা পুরুষাঙ্গ কর্তণ করে নিজ শয়ন কক্ষের বিছানায় ফেলে রেখে বোন জামাইয়ের সাথে মটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই সন্তানের জননী স্ত্রী রেশমা বেগমের (৩০) বিরুদ্ধে। পরে গুরুতর আহত রুবেল সরদারকে চিকিৎসার জন্য কোটালীপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনেরা। অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রুবেলকে ঢাকায় প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের বিরামেরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, এলাকার মোনজেল সরদারের ছেলে রুবেলের সাথে একযুগ পূর্বে প্রেমের সম্পর্কের পর সামাজিকভাবে বিয়ে হয় প্রতিবেশী আমির আলী ফরাজীর মেয়ে রেশমা বেগমের। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো বলে জানায় ভুক্তভোগীর স্বজনেরা। কয়েকমাস পূর্বে উক্ত রুবেল অন্য এক হিন্দু গৃহবধুর সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।

ভুক্তভোগীর মা সাফিয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে পুত্রবধু আমার ছেলের টাকা পয়সা-স্বর্ণালঙ্কার আত্মস্বাৎ করে আসছিলো, রেশমার ভাই আলী, মনির, নিজাম, মতিউর এবং চাচা জাবেদ আলীর সহযোগীতায় আজ আমার ছেলের পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে, আমার স্বামীকে মারপিট করেছে, আমি রেশমা ও তার সহযোগীদের ফাঁসি চাই। প্রথম শ্রেনির শিক্ষার্থী ছেলে আরাফাত সরদার জানায়- বাবার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাবা রক্তে মাখা, মা চলে যাচ্ছে, আমি একটি ব্লেড বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেছি।

আমেনা বেগম বলেন, ভাড়া বাড়ীতে থাকাকালে রেশমার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাধ্যমে এক হিন্দু মহিলার সাথে রুবেলের পরকীয়া সম্পর্কের পর বিবাহ হয়, কিছুদিন পূর্বে ঐ নারীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটে রুবেলের। জাহিদুল ইসলাম, আজিজুল শেখ সহ একাধিক এলাকাবাসী জানায়- ঘটনা দেখে মনে হয় রেশমা আগে থেকেই সব সাজিয়ে রেখেছিলো।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত রেশমার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার বাবার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।