• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা শীর্ষক সুধী সমাবেশ 


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩১, ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন / ২০
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা শীর্ষক সুধী সমাবেশ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পাখরপাড়, ভাঙ্গারহাট মধ্য ও দক্ষিন বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প পাখরপাড় বিডি – ০৩৫৪ কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আয়োজনে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা শির্ষক সুধী সমাবেশ -২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় ব্যাপ্টিষ্ঠ চার্চ পাখরপাড়, ভাঙ্গারহাটে এ সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  গোপালগঞ্জ – মাদারিপুর, এবিসি, এস পালক প্রধান ও পাখরপাড় বিডি -০৩৫৪ প্রকল্প এলসিসি সভাপতি রেভাঃ বিমল রায়। তিনি বলেন ৩১৯ জন শিশুকে পালন করে থাকে কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। ১ বছর থেকে শুরু ২২ বছর পর্যন্ত সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে, শিক্ষা গ্রহন, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দিয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গারহাট কাজী মন্টু কলেজের উপাধ্যক্ষ কমল তালুকদার, পাখরপাড বিডি -৩৫৪ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক রনি বাড়ৈ, এলসিসি সদস্য রেখা কর্মকার, স্বপন পাইক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ভরত চন্দ্র বাড়ৈ, পাখরপাড পিবি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিপ্রা মৃধা, ভাঙ্গারহাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মামুন,  গণমাধ্যমকর্মী পঙ্কজ বিশ্বাস, এলসিসি ফ্যান লিডারবৃন্দ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সমাবেশের প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে অনেকে মূল্যবান বক্তব্য দিয়েছেন, বাল্যবিবাহের সুফল ও কুফল তুলে ধরেছেন। কমল তালুকদার তার বক্তব্যে তুলে ধরেছেন বাল্যবিবাহ হলো একটি সামাজিক ব্যাধি। যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া সমান অপরাধ। অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমরা সব সময় কাজ করে থাকি। বাল্যকালে বাল্যবিবাহ দেওয়া হলে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। আরো বলেন নারী হলো মা, বোন, সহধর্মিণী। আমরা নারীদের গর্ভ থেকে সৃষ্টি হয়েছি তাই তাদের প্রতি আমাদের সকলের যত্নবান হওয়া উচিত। প্রধান শিক্ষক শিপ্রা মৃধা তার  বক্তব্যে বাল্যবিবাহের বিভিন্ন কুফল তুলে ধরেন এবং বাল্যবিবাহের ফলে সন্তান প্রসবের সময় মা ও নবজাতকের অকাল মৃত্যু ঘটে। এছাড়া নারীরাও কোন কাজে পিছিয়ে নেই। লেখাপড়া শিখে নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। বাল্যবিবাহের কুফল বিভিন্ন স্কুল কলেজে ও গ্রামে-গঞ্জে বেশি বেশি করে প্রচার করে এটা রোধ করতে হবে। আর এর ফলেই সমাজে বাল্যবিবাহ হ্রাস করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন শেড-বোর্ড বাংলাদেশ।

বাস্তবায়নে ছিলো মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প, পাখরপাড় বিডি-০৩৫৪ পাখরপাড়, ভাঙ্গারহাট, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।