নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের নিজামকান্দি উচ্চ বিদ্যায়ের পাশে সরকারী জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছিল।
এ ঘটনায় নিহত সাবেক সেনা সদস্য আনসার চৌধুরীর স্ত্রী শরিফা বেগম বাদী হয়ে ৭৮ জনকে আসামী করে ও অজ্ঞত নামা লিখে আরো ২০/২৫ নামে মামলা করেন। যার মামলা নং -৩১/২৩৬। এ পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ জন আসামীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
এস্থানীয় সূত্রে জানা যায় , নিজামকান্দি উচ্চ বিদ্যায়ের উত্তর পাশে সড়কের উপর স্থানীয় শাহাজান মেম্বার ও স্থানীয় কাচামাল ব্যবসায়ী শফিক মোল্লা গত ৩০/১০/২৩ তারিখে সকাল ৮.৩০ মিনিটের সময় সরকারি জায়গা দোকান ঘর তোলা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এলাকায় দলিয় বিরোধ থাকার কারনে বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী নওশের আলী ও সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান মকুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘষে ছড়িয়ে পড়ে । এক পর্যায় সাবেক সেনা সদস্য আনসার চৌধুরী নিহত হয় এবং কমপক্ষে ২০জন আহত হয়। পুরুষ শুন্য হয়ে পরেছে এলাকাটি। এপর্যন্ত দলিয় বিরোধের জের ধরে ১৫টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । যাহা আদালতে বিচারে চলমান রয়েছে ।
ভুক্তভুগীরা জানান , এ ঘটনার জের ধরে এলাকায় রাতের আধারে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গৃহীত পালিত গরু ও ধান লুটপাট করছে এবং ভাংচুরের অভিযোগ করে ।
এ বিষয়ে ভুক্তভুগি পরিবারগুলো নাম গোপন রাখা সর্তে জানান ,আমাদের বাড়ি থেকে রাতের অধারে গরু নিয়ে যায় জাহা অর্থের বিনিময়ে (মুক্তিপন) ছেড়ে দেয় এবং তারা বলে কারো কাছে নাম প্রকাশ করলে অজ্ঞত নামায় আসামীর জায়গায় তোমাদের নাম দিয়ে দেওয়া হবে ।
ধান কাটার মৌসুমে গ্রামটি পুরুষ শুন্য হওয়ায় মহিলারা কৃষি জমি থেকে ধান কেটে বাড়িতে আনার পর রাতের আধারে সে ধানও লুট হয়ে যাচ্ছে । এছাড়া পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ায় কৃষি জমি চাষাবাদ করতে পাড়ছে না কৃষকরা ।
নিজামকান্দি বাজারে মুদি দোকান ব্যবসায়ী নান্টু শেখের স্ত্রী বলেন,এই হত্যা ঘটন কে কেন্দ্র করে দোকানের যাবতীয় মালামাল ফ্রীজ, টিভি, চাল, আটা সহ রাতের আধার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
মামলায় ১ নং আসামীর বাড়ি সহ টেনা মোল্যার ছেলে অলিয়ার মোল্যার বাড়ির মালামাল লুটপাট ও তার চাচাতো ভাই নুর ইসলাম শেখ বাড়ি ভাংচুর করা হয়।
নিজামকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান বিপ্লব বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলী এলাকায় খুনের রাজত্ব কায়েম করেছেন। গত দুই দশকে নিজামকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদে এপর্যন্ত ১৫টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। আমরা শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী ইউপি সেনা সদস্য হত্যায় জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলীর গ্রেপ্তারের দাবী করছিও এলাকায় কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে নাই। বিরোধী দল যা বলে আদ্য সত্য নয়।
এ বিষয়ে কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ জসিম উদ্দিন জানান ,সরকারি জায়গা দখল করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় । একটি বিছিন্ন ঘটনা ঘটেছে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে একটি গরুর জবাই দিয়ে রান কেটে নিয়ে গেছে খাচা ছিলো এটার গোপনে তদন্ত চলছে কারা এই কাজের সাথে জড়িত। হত্যা মামলায় এপর্যন্ত ১১ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এলাকার সাধারন মানুষ বিউটি বেগম বলেন , এলাকার সাধারন মানষেরা যেন শান্তিতে থাকতে পারে ও লুটপাট না করে ও গ্রামের মানুষ নিজ ভিটায় ফিরে আসতে পারে প্রসাশনের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারন মানুষ ও প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় আনা হোক।