নিজস্ব প্রতিবেদক,গাইবান্ধাঃ জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যনত্ম শানিত্মপূর্ণভাবে ইভিএমের মাধ্যমে একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটারদের উপসি’তি আশানুরম্নপ ছিল না। তবে পুরম্নষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপসি’তি কিছুটা বেশি লড়্গ্য করা গেছে।
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস’ায় মারা গেলে ওই আসনটি শূন্য হয়। পরে নির্বাচন কমিশনার আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। পরে ১২ অক্টোবর বুধবার শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভোটের অনিয়ম হওয়ায় নির্বাচন স’গিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনার ৬ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। এ নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তারা হচ্ছেন- আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও ব্যালটে তার নাম রয়েছে।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন ও পুরম্নষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন। সাঘাটা-ফুলছড়ি দুই উপজেলা মিলে ভোট কেন্দ্র ১৪৫ এবং বুথের সংখ্যা ৯৫২টি।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্যের নিরাপত্তার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিসি’তি ও সার্বিক অবস’া সমপর্কে জানতে ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে স’াপন করা হয়েছে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা। যা পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করেছেন নির্বাচন কমিশন। শানিত্মপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ করার জন্য বিজিবি, র্যাবের মোবাইল টিম, পুলিশের মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :