এম শিমুল খান : উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় ধানমন্ডিতে উপ-সহকারী প্রকেীশলী হিসেবে কর্মরত আছেন জাহিদ। গণপূর্তের প্রক্যেশলী জাহিদ টাকার বিনিময়ে ভালোকে মন্দ, মন্দকে ভালো বানিয়ে কামিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। ঘুষ না হলে প্রকৌশলী জাহিদের একেবারেই চলে না। এজন্য তার অফিসের সরকারি এবং বেসরকারি কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া আছে। যারা তার পক্ষে ঘুষ লেনদেন ও দরকষাকষির কাজ করে থাকে।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে জাহিদ নিজেই আবেদনকারী বা ভুক্তভোগীদের সাথে ঘুষের টাকা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে থাকেন।
এসব নিয়ে কেউ মুখও খুলতে চান না। তবে এবার প্রকৌশলী জাহিদের ঘুষ নেওয়ার বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেছেন এক সাহসী নারী। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ২৩/ ০২/২০২১ইং তারিখ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কার্যালয় ধানমন্ডি গণপূর্ত বিভাগ বরাবর সাদিয়া রহমান খান প্লট নাম্বার ৩৬৭ পুরাতন ১১ (নতুন) রোড নম্বর ২৯ পুরাতন ১৪ নতুন ,১২ কাঠা জমির উপর নির্মিত ভবনে মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণ প্রসঙ্গে আবেদন করেন। যার সূত্র স্মারক নম্বর ৪৬৭৮ তারিখ ৭/০১ ২০২১ইং। উক্ত স্মারকের আলোকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও দলিল-দস্তাবেজ সংযুক্ত করার পরও ঘুষ দাবি করেনপ্জারকৌশলী জাহিদ । চার লক্ষ টাকা ঘুষ না দিলে প্রতিবেদন সাদিয়া রহমান খান এর বিপক্ষে দিবেন বলেও হুমকি প্রদান করেন।
প্রকৌশলী জাহিদ বলেন, চার লক্ষ টাকা দিলে সকল কর্মকর্তার দায়িত্ব নিজে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করে দেবেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু সাদিয়া রহমান খান প্লট নম্বর ৩৬৭, উক্ত প্লটে নির্মিত ভবনের সমস্ত প্রতিবেদন তৈরি করার দায়িত্ব আমার হাতে।
যার ফলে গত ১৬/০৩/২০২১ইং তারিখ ধানমন্ডির উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ে নিজ চেয়ারে বসে উক্ত প্রতিবেদনের জন্য চার লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তার সমস্ত আলাপ-আলোচনা ভিডিও ফুটেজ আকারে ধারণ করা আছে ।শুধু তাই নয় আবেদনকারীর পক্ষে যে বা যারা ফোন করেছেন তাকেই তিনি ঘুষের টাকার কথা উল্লেখ করেছেন। সাদিয়া রহমান খান ঘুষের টাকা না দেওয়ার কারণে পরিকল্পিতভাবে গত ২৫/০৩/২০২১ ইং তারিখ ৩৬৫৬ স্মারকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে তার বিপক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন জাহিদ। সরকারি চেয়ারে বসে, জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে, জনগণের সাথে এরকম প্রতারণা, সামনা সামনি ঘুষ চাওয়া কর্মচারী কিভাবে এখনো চেয়ারে বসে আছেন তা বোধগম্য নয় বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ্জউপসহকারী প্হিরকৌশলী জাহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, এ ব্যাপারে আমার এই মুহূর্তে কোনো বক্তব্য নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমার স্যারের সাথে কথা বললে ভাল হত। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম ফারুক চৌধুরী অফিসে গেলে ওনাকে না পেয়ে কয়েক বার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি