মনিরুজ্জামান অপূর্ব:স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের লক্ষ্যে আজ অদ্য ১৬.০৮.২০২১ তারিখ সোমবার বেলা ১২:০০ টায় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক অন-লাইনে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব মোঃ আবুল মনসুর। মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অন-লাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ, এমপি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত শান্তি কামনা করেন এবং কুচক্রী মহলের মূল উৎপাটনের মাধ্যমে দেশকে শাপমুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আবুল মনসুর তাঁর বক্তব্যে বলেন “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবন-কে বাংলাদেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আমরা বাঙ্গালীরা তাঁর কাছে ঋণী। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব জাতির পিতার কন্যা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে তাঁর হাতকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা”।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ই আগস্টে শহিদ সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলের পর বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মোছাঃ মরিয়ম বেগম, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, গোপালগঞ্জের লাইব্রেরিয়ান মো. আল-মামুন হাওলাদার এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মনিরুল আলম। এরপর মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরেণ্য অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিঁনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ১৫ই আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীল নকশাকারী ও কুখ্যাত অংশগ্রহণকারীদের স্বরূপ উদ্ঘাটন করে এই ঘৃণ্য চক্রান্ত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সার্বিক দালিলিক ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ আবুবকর সিদ্দিক।
আপনার মতামত লিখুন :