বিশেষ প্রতিনিধিঃ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণে ১৫টি শর্তে আজ রবিবার (১ আগস্ট) থেকে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৮টার মধ্যে নিজ নিজ কারখানায় যোগ দিয়েছেন অধিকাংশ শ্রমিক। কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের বাইরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, ধোয়ার পর শুকানোর জন্য ড্রায়ার বা টিস্যু পেপারের ব্যবস্থা রাখা, হাত পরিষ্কার সামগ্রী রাখা এবং নিয়মিত সেগুলো পুনর্ভর্তি করা; এমন ১৫টি শর্তের অনেক ব্যবস্থা দেখা গেছে পোশাক কারখানাগুলোতে। প্রবেশ পথে প্রায় সবাইর মুখেই মাস্ক পরা দেখা গেছে।
রাজধানী বাড্ডার আলীর মোড়ের আর টেক্স ফ্যাশনের সুপার ভাইজার মো. মহসিন বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করতে দিচ্ছি। তবে আজ মনে হয় সবাই যোগ দিতে পারবে না। কারণ এখনো অনেকে গ্রাম থেকে আসতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে আজ রবিবার থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ জন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধে গ্রামে থাকা শ্রমিকদের কাজে না ফিরতে অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
শ্রমিকদের অভয় দিয়ে সংগঠনটি বলছে, বিধিনিষেধ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ না দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি তাদের ফোন করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কাজে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। এজন্য শনিবার বিধিনিষেধের নবম দিনে রাজধানীর প্রবেশমুখে জনস্রোত দেখা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ায় তাদের ফিরতে হয়েছে। সাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, হিউম্যান হলার, ট্রাক ও মোটরসাইকেলে করে তারা বাড়ি থেকে আসেন। কিন্তু ঢাকার প্রবেশমুখে পুলিশের বাধায় অনেকে পায়ে হেঁটে ঢাকায় ঢোকেন। ফেরিগুলোতেও ছিল জনস্রোত।
এমন পরিস্থিতি দেখে শনিবার রাতে সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে রবিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :