• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

খুলনা নগরীর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ৮:১১ অপরাহ্ন / ৯৫
খুলনা নগরীর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর

মোস্তাইন বীন ইদ্রিস চঞ্চল,খুলনাঃ খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানাধিন শিরোমণি বাইপাস চিংড়িখালী বাজারের পাশে ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসের আসবাপত্র ভাঙচুর করে প্রায় ৫০হাজার টাকার ক্ষতি এবং ৩৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শামিম আহম্মেদকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে খানজাহান আলী থানায় মামলা হয়েছে (মামলা নং-২, তাং-৩/১২/২২)।

মামলায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কাজী মিজানুর রহমান, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, মো. আলমগীর হোসেন, কেসিসি ২নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মো. ইমদাদ হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক ইকবাল হোসেন মিজান, শিরোমণি দক্ষিণপাড়ার মো. বিল্লাল শেখ(৩৭), আটরা গিলাতলা যুবদল নেতা শেখ আলমগীর হোসেন, শিরোমণি দক্ষিণপাড়ার মো. জিয়া(৩৫), সাবেক থানা বিএনপির নেতা মোল্যা সোলাইমান, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.শরিফুল ফকির, আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ফকির, শিরোমণি দক্ষিণ পাড়ার শেখ আব্দুল হালিম, মীরেরডাঙ্গার মো. মেহেদী হাসান বাপ্পি, শিরোমণির মো. আলামিন শেখ, শিরোমণি এলাকার রেজাউল(৫৪), খানাবাড়ী এলাকার মামুন(৪০)সহ অজ্ঞাত২৫/৩০জনকে আসামী করা হয়েছে।

এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত কেসিসি ২নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মো, ইমদাদ হোসেন, মীরেরডাঙ্গার মো. মেহেদী হাসান বাপ্পিসহ অজ্ঞাতনামা আসামী সাবেক ছাত্রদল নেতা হাদিউজ্জামান হাদি, সাবেক থানা ছাত্রদলের সভাপতি চয়ন শরীফের ভাই বিএনপি নেতা আরিফিন শরীফ, সোহাগ মোল্যা যুবদল নেতা পলাশকে গ্রেফতার করেছে।

মামলার বাদী ৩৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শামিম আহম্মেদের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ২/১২/২২ তারিখ ডাকাতিয়া বিল থেকে মৎস চাষীদের সাথে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনা শেষে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে শিরোমণি উত্তরপাড়া বাইপাসের চিংড়ীখালী বাজারের পাশে ৯নং ওয়ার্ড আওযামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আসলে মামলার উল্লেখিত আসামীরা দা, লাঠি, চাইনিস কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কের দক্ষিণে মিছিল সহকারে শামিম আহম্মেদের গতিরোধ করে। তারা তাকে ঘিরে ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাচেপে ধরে কিল-ঘুষি, এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর করে। এ সময় আসামীরা ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে ঢুকে আসবাপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৫০হাজার টাকার ক্ষতি করে। এই ঘটনায় পুলিশ এজাহারনামীয় ২জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫জন সহ মোট ৭জনকে গ্রেফতার করেছে।

এ ব্যাপারে মালার তদন্তকারী কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এসআই পীযুষ দাস জানান, মামলার এজাহারনামীয় ২জন এবং তদন্তে আরো ৫জন মোট ৭জনকে আটক করা হয়েছে।