• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন

খুলনার সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছরের কারাদণ্ড


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩১, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন / ২৩
খুলনার সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানের ৮ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আদালত এ আদেশ দেন। একই সাথে উৎস বহির্ভূত ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অনাদায়ে তাকে আরো তিন মাস কারাভোগ করতে হবে। একই আইনের ২৭(১) ধারায় তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার দণ্ড একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ হাজির করা হয় মামলার আসামি মিজানুর রহমানকে। রায় ঘোষণার পর তাকে আবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদালতের স্টেনোগ্রাফার মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহেরের আদালত রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ৩০ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। ওই দিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলা তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

মিজানুর রহমান ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে খুলনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি এমপি হওয়ার পর সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে নগরবাসী। তার বিরুদ্ধে যুবলীগের লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ ইকবাল বিথার হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার বোনের জামাই র‌্যাব কর্মকর্তা রানা নারায়নগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী।