খুলনা অফিসঃ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জয়খালী এলাকায় মৃত যোজ্ঞেস্বর মণ্ডলের সন্তানদের ১০২ বছর যাবৎ ভোগদখলীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নালিশী ওই জমির মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জলমা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে অভিযোগ করেন কৃষ্ণপদ মণ্ডল (রায়) এর পক্ষে প্রবীর রায়। আর তা না মেনে জমলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বিধান রায়ের নির্দেশে সহযোগি বিধান হালদার নামের এক ব্যক্তিসহ কয়েকজন লোক জয়খালী এলাকার কৃষ্ণপদ মণ্ডলের রাজবাধ মৌজায় ২ দশমিক ৫০ একর জমি সার্ভেয়ার আমিন ও রনজিত এর মাধ্যমে মাপামাপির মাধ্যমে পল্লবী পারভীনের পক্ষে দখলের চেষ্টা করছিলো বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী প্রবীর রায়। কৃষ্ণপদ মণ্ডলের ছেলে প্রবীর রায় জানান,জলমা ইউনিয়নের রাজবাধ মৌজায় ২ দশমিক ৫০ একর জমি পৈতৃক সূত্রে ১০২ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছে আমার পরিবার। কিন্ত প্রায় ১৫ বছর ধরে আমাদের জমিতে এসে ছোট বয়রা এলাকার পল্লবী পারভীন হোসেন নামের এক ব্যক্তিসহ কয়েকজন বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমন কি ওই জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টাও করে। জমি দখলের এ চেষ্টা নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্ত কোনো সমাধান হয়নি। এরপর ২০০৭ সালের ১৪ মার্চে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে কৃষ্ণপদ মণ্ডল (রায়) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবরে আদালত এই জমির ওপর স্থিতাবস্থা (১৪৪ ধারা) জারি করেন। কিন্তু এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে কয়েকবার দখলের চেষ্টাও চালায় অভিযুক্ত খুলনা নগরীর ছোট বয়রা মসজিদ বাড়ি রোড এলাকার পল্লবী পারভীন হোসেন, সহযোগি মো. আজাদ ও মো. আব্দুর রশিদ। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার সহযোগি বিধান হালদার নামের এক ব্যক্তিসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল এসে আমাদের জায়গা মাপামাপি করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় দখলকারীদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে প্রধান অভিযুক্ত পল্লবী পারভীন হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়না।
পরে তার সহযোগি মো. আজাদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান,ওই জমির মালিক আমি না। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায় মুঠোফোনে বলেন, ঘটনার দিন আমার প্রতিনিধি (সহযোগি) ওখানে গিয়েছিলো। তবে ওই জমি নিয়ে যে মামলা চলমান তা জানতাম না। পরে স্থানীয়রা জানালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাপামাপি করতে নিষেধ করাসহ সহযোগিদের চলে আসতে বলা হয়।
বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলম বলেন, আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই মানতে হবে। যদি কেউ এর বিরোধীতা করে তাহলে সেটি অপরাধ।