নিজস্ব প্রতিবেদক, পাইকগাছা, খুলনাঃ গত ৩ সেপ্টেম্বর খুলনার পাইকগাছা উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন এর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তুষার কান্তি দাশ, উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিষ্ণুপদ সিংহ, সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান গাজী, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার, লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন, গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, হরিঢালী প্যানেল চেয়ারম্যান শংকর বিশ্বাস, লতার ভারঃ চেয়ারম্যান পুলকেশ রায়, রাডুলীর প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ডিলার রামপ্রশাদ পাল, মোঃ আজহারুল ইসলাম (লাভলু), প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ ও আঃ আজিজ, কৃষক প্রতিনিধি রওশনআরা বেগম, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বিশ্বজিৎ রায়, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডল্টন রায়। সভার শুরুতে সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানান ও যারা কমিটির সদস্য নয় তাদের সভায় না থাকার জন্য অনুরোধ জানান এর ফলে ডিলার নুর ইসলাম খাঁ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সমর কান্তি হালদার সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। নিয়োমিত সার উত্তোলন ও বিতরন পরিস্থিতির বিষয় আলোচনার এক পর্যায়ে চাঁদখালী ও লতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান যে, সার বরাদ্দ সঠিকভাবে করা হচ্ছেনা এবং কয়েকজন ডিলার ও খুচরা সার বিক্রেতাগন নিয়মানুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করছেন না। এ ব্যাপারে ডিলার মোঃ আজহারুল ইসলাম (লাভলু) একটি লিখিত দরখাস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ অন্যান্য সদস্যদেরকে প্রদান করেন।
পাইকগাছা থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, আমরা নতুন এসেছি তাই দরখাস্তের বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। আলোচনায় দেখা যায় বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। হরিঢালী ইউনিয়নের সার ব্যবসায়ী কপিলমুনি বাজারে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের ৭ (সাত) জন খুচরা সার বিক্রেতা কপিলমুনি বাজারে সার বিক্রয় করছেন কপিলমুনি ইউনিয়নের খুচরা সার বিক্রেতা আবু হেনা সরদার কে "কপিলমুনি বাজারে" সার বিক্রয়ের ব্যাপারে যে দরখাস্ত করেছেন সেটি এবং সকল ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে বোঝা যায় যে, প্রাক্তন ব্যবসায়ী জনাব রোকন উদ্দীনেরও ব্যবসায়ী স্থান ছিল কপিলমুনি বাজার। কিন্তু এ ব্যাপারে মাননীয় সংসদ সদস্য ডিও লেটার এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউপি চেয়ারম্যানের সুপারিশ ছিল। কিন্তু আবুহেনা সরদারকে কার্ড প্রদানের সময় কৌশলে বিক্রয়ের স্থান ভিন্ন লেখা হয়। যা সংশোধন করা প্রয়োজন। সভাপতি বলেন এ ব্যাপারে পর্যালোচনা পূর্বক কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।
চাঁদখালী ইউনিয়নের ডিলার মোখলেছুর রহমানের ব্যাপারে চাঁদখালী ইউনিয়নের চেয়ানম্যান জানান, মোখলেছুর রহমান তিনি সঠিকভাবে ব্যবসা করেন না। এমন কি খুচরা সার বিক্রেতাদের যথাসময়ে সার সরবরাহ না করায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
আজহারুল ইসলাম লাভলুর দরখাস্তের প্রেক্ষিতে আলোচনার পর কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করার জন্য সভাপতি নির্দেশ প্রদান করেন।
সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, আমি পাইকগাছায় সদ্য যোগদান করেছি। এখন থেকে সার বরাদ্দ সঠিকভাবে করা হবে এবং ডিলারগনকে বরাদ্দ কৃত সার উত্তোলন করে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করতে হবে, কারন ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য সার ব্যবহার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই সার উত্তোলন ও এর সরবরাহ সঠিকভাবে করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে তিনি সজাগ থাকার অনুরোধ জানান। সকল সমস্যা ও অভিযোগ আলোচনা হয়েছে তা সুষ্ঠু ও আইনানুগ ভাবে সমাধান করা হবে।