
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া ছাড়াই স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন। কারচুপি অবৈধ নির্বাচন বাতিল পূর্বক পুনরায় নির্বাচন দাবী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তরসহ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক অভিযোগ করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীসহ ৪২ শিক্ষক।
অভিযোগে প্রকাশ,গত ২৯ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা স্কাউটসের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যা সম্পুর্ন অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ার কথা সেভাবে না করে সম্পুর্ন অনিয়ম ও যেনতেন ভাবে সম্পাদক নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী শেখ এটা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
একারণে ৯ জানুয়ারী ইউএনও দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। নির্বাচনে উপজেলায়,প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ৩৮৬ জন শিক্ষক ভোটার থাকলেও সেখানে অধিকাংশ ভোটার উপস্থিত ছিলেন না।নির্বাচনে গঠন করা হয়নি পরিচালনার জন্য কমিশন, প্রণয়ন করা হয়নি ভোটার তালিকা,ঘোষনা করা হয়নি তফশীল ও ছিলনা কোন ব্যালট পেপার। অথচ হয়ে গেলো ভোট।২৬টি পদের মধ্যে ৩টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকী ২৩ টি পদ অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পাদন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন,যেহেতু এ কমিটির আমি নিজেই সভাপতি বিধায় এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। উপস্থিত শিক্ষকদের মতামতাদের উপর ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়েছে। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনিও একজন প্রার্থী ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :