মোঃ মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী আগড়ঘাটা বিরাশির মোড় হতে ঘোষ পাড়া পিচের রাস্তা পর্যন্ত ১কিঃমিঃ রাস্তাটির বেহাল দশা! দেখার কেউ নেই? দীর্ঘদিন যাবত এই রাস্তাটির সংস্কার না হওয়ায় অবহেলিত ভাবে পড়ে থাকায় বর্তমানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চার গ্রামের মানুষের। জানা যায়, উক্ত রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চার গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ চলাচল করে। দীর্ঘদিন রাস্তাটি অবহেলিত থাকায় উক্ত রাস্তাটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, দুই ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী রাস্তা হওয়ায় ইতিপূর্বে রাস্তাটির সংস্কার হয়নি। সরজমিনে গিয়ে লোকমুখে জানা যায়, ইতি পূর্বে ইউপি সদস্য বদরুল আলম তার নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাটির সংস্কার করেছিলো। তারপর থেকেই রাস্তাটির সংস্কারের ছোঁয়া আর মেলেনি। বর্তমানে রাস্তাটি মরণফাঁধে রূপ নিয়েছে, যা অচিরেই সংস্কার না করলে আগামী বর্ষা মৌসুমে উক্ত রাস্তাটি চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তাটির সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন পথচারী ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে কপিলমুনি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু গৌতম ঘোষ দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার এ প্রতিনিধিকে জানান, দীর্ঘদিন আগে উক্ত রাস্তাটির বিভিন্ন ভাঙ্গা জায়গাগুলো সংস্কারের জন্য আমিও কিছু ইট অন্যান্য উপকরণ দিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি আরো জানান, এ রাস্তাটির কোল ঘেঁষে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ একাধিক মসজিদ। এমতাবস্থায় আগামী বর্ষাকালের আগে রাস্তাটির সংস্কার না করা হলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের, ধর্মপরায়ণ মানুষ, এলাকার গরিব অসহায় রোগী সহ চার গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের। এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান বদরুল আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ইতিপূর্বে জনগণের দুর্ভোগ নিরশনে আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তাটির সংস্কারের কাজ করেছিলাম। তারপর থেকে রাস্তাটির সংস্কার হয়নি। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা দুই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিলে উক্ত রাস্তাটির জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন আগামী জুলাই মাসের মধ্যে রাস্তাটির টেন্ডার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :