• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন

খুলনার পাইকগাছার আলোচিত পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৪, ৮:৩৭ অপরাহ্ন / ৯৫
খুলনার পাইকগাছার আলোচিত পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার

মোঃ মানছুর রহমান জাহিদঃ খুলনার পাইকগাছায় আলোচিত পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা একাধিক মামলার আসামী এনামূল (২৫) কে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এএসপি (ডিসার্কেল), থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও ইন্সপেক্টর ( তদন্ত)’র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কপিলমুনির পুর্ব কাশিমনগরের একটি পরিত্যক্ত মাছের ডিপো থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় ঘটনার মূল হোতা একাধিক মামলার আসামী এনামূলের দেহ তল্লাশী করে ১টি দেশীয় তৈরী কালো রংয়ের ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড তাজা গুলি ও ১’শ পিচ ইয়াবা এবং ৫০পিচ চেতনা নাশক ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। উপজেলার গদাইপুরের একরামূল জোয়াদ্দারের ছেলে ধৃত এনামূলের তথ্যমতে তার মায়ের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ও ডুমুরিয়ার মালতিয়া গ্রামের দীপক হালদারের ছেলে স্বর্নকার সুমন হালদার (৪০)’র কাছ থেকে চোরাই স্বর্নের দুল উদ্ধার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ এ মামলায় রাড়ুলীর ছামাদ সরদার (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন। আলোচিত পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা ও দস্যুতাবৃত্তির ঘটনায় জড়িত এনামুলকে গ্রেপ্তারে গোটা এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করেছেন সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার।

উল্লেখ্য, গত ১২ই ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে উপজেলার রাড়ুলীতে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে দুর্বত্তরা বাড়ি ঘেষা গাছ বেয়ে একতলা বিল্ডিং এর চিলে কোটায় উঠে। এর পর তারা সাবল দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূর ভ্যানাটি ব্যাগ থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা, ১টি বাটন মোবাইল ও টেনে হেচড়ে কানে থাকা দু-আনা ওজনের দু’টি স্বর্নের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা গৃহবধূর মুখে সুপার গ্লু আঠা লাগিয়ে উপুর্যুপরি ধর্ষন করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ভোর রাতে প্রতিবেশিরা টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
এ সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর( তদন্ত) তুষার কান্তি দাশ জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ঘটনার মূল হোতা এনামূলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, এ ঘটনায় অন্য কারা জড়িত আরোও জানতে হলে গ্রেপ্তারকৃত এনামুলকে ব্যাপক জিসাজ্ঞাবাদ জরুরী। ভিকটিমের শারিরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিম অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছেন।