• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় মন্দিরের জায়গা নিয়ে মারপিটের ঘটনায় আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন / ৫৯
খুলনার পাইকগাছায় মন্দিরের জায়গা নিয়ে মারপিটের ঘটনায় আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা

মোঃ মানছুর রহমান জাহিদ,পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছায় বিরোধপূর্ণ মন্দিরের জায়গা নিয়ে মারপিটে’র ঘটনায় আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। আদালত কবিতার দায়ের করা মামলাটি পিবিআই ও প্রতিপক্ষ গোপাল চন্দ্র বাইনের দায়ের করা মামলাটি থানার ওসিকে তদন্তে’র নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ৫ ই সেপ্টেম্বর-২৩ তারিখে পাইকগাছার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলার চাঁদখালী ইউপি’র কৈয়াসিটিবুনিয়ার হিমাংশু বাইনের স্ত্রী কবিতা বাইন বাদী হয়ে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। যার নং- সি, আর নং-১২১৩/২৩। মামলায় আসামী করা হয়েছে কৈয়াসিটিবুনিয়ার মৃতঃ অরবিন্দু বাইনের ছেলে গোপাল- বাইন (৪২), মৃতঃ,সতীষ মন্ডলের ছেলে খোকন মন্ডল (৫২), সুর্য্যকান্ত মন্ডলের ছেলে বিশ্বিজিৎ (৪২), সন্তোষ সরদারের ছেলে মহিত (৩৮), লালচাদ মন্ডলের ছেলে পরিমল (৪৮), মৃতঃ উপেন্দ্র নাথ সরদারের ছেলে রনজিৎ (৫৯), মৃতঃ কান্তরাম সরদারের ছেলে মনোরঞ্জন (৪৭), সুধাংশু সরদারের ছেলে বাপ্পি (৩০), গোপাল বাইনের স্ত্রী রত্মাসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন। অপরদিকে গোপাল চন্দ্র বাইন বাদী হয়ে গত ১৮ই সেপ্টেম্বর একই আদালতে পূজা অর্চনে বাঁধা, ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগ এনে প্রতিপক্ষ খগেন্দ্র নাথ বাইন ও অজিত বাইন তার ছেলে গৌরাঙ্গ সহ একাধিক ব্যক্তির নামে সিআর-১২৩০/২৩ নং মামলা করেছেন।

জানাগেছে, কৈয়াসিটিবুনিয়ার পশ্চিমপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের জায়গা নিয়ে বাদী পক্ষ অজিত বাইন গংরা ও প্রতিপক্ষ গোপাল চন্দ্র বাইন পক্ষদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আরও জানাগেছে, এ সংক্রান্তে গোপাল বাইনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৬ আগস্ট বিকেলে বিট পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয়ের কথা-বার্তা শুনে বিষয়টি সমাধানের জন্য দু’পক্ষকে থানায় আসতে বলেন। হিমাংশু বাইনের স্ত্রী কবিতা অভিযোগ করেন পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগের পুর্বমুহূর্তে তর্ক-বিতর্কের জেরে গোপাল বাইন পক্ষের দ্বারা অমূল্য বাইনের ছেলে খগেন্দ্র নাথ বাইন (৪৫) ও মৃতঃ ললিত বাইনের ছেলে আমার শ্বশুর অজিত বাইন (৫৫) কে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠিসোটার মারপিট করে। আহত হয়ে খগেন বাইন জ্ঞান হারায়। মুহুর্তেই বিট পুলিশের এসআই অমিত দেবনাথ ও এএসআই শেখ পলাশ হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। মারাত্মক অবস্থায় ঐ রাত্রেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খগেন্দ্র নাথ বাইন ও অজিত বাইনকে খুমেক হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে অজিত বাইন অভিযোগ করেন আমি খুলনা ২৫০শর্যা হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় গোপাল- খোকন পক্ষরা আমার রেকর্ডিয় মন্দিরের জায়গায় ঘেরা-বেড়া দিয়েছেন। তিনি আরোও অভিযোগ করেন গোপাল গংরা মন্দির ভাংচুরের মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানীর চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে গোপাল চন্দ্র বাইন জানান, খগেন্দ্র নাথ বাইনের সহায়তায় বিগত ২০১২ সালে কাগজীদের জমির মাথায় মন্দির তৈরী করে পূজাপার্বন শুরু করি। পরে ললিত বাইন গংরা মন্দিরের নামে ৩ শতক ডোবার জমি দান করে এখন আদালতে উচ্ছেদ মামলা করেছেন। তিনি আরোও অভিযোগ করেন খগেন বাইন একাধিক মামলা করে গ্রামের লোকের হয়রানী করছেন।

এ বিষয়ে ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরের জমি নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা খুবই দুঃখ জনক। তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দর হস্তক্ষেপ জরুরী বলে তিনি মনে করেন।