• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন : ধোয়ার কুন্ডলীতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন / ২১
খুলনার পাইকগাছায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন : ধোয়ার কুন্ডলীতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছায় প্রশাসনের চোখের সামনে অসংখ্য চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন করায় ধোয়ার কুন্ডুলিতে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দুষিত হচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী।

সরজমিনে দেখা যায়, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার প্রধান সড়কের চাঁদখালী বাজারের পাশে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ অসংখ্য কয়লার চুল্লি। আর বছরের পর বছর এ চুল্লি গুলোতে হাজার হাজার মণ কাঠ পুড়িয়ে কয়লার কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে। সেখানে জীবনের ঝুকি নিয়ে বহু সংখ্যক নারী, পুরুষ ও শিশু শ্রমিকরা কাজ করছে। চুল্লির কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দুষিত হচ্ছে। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। জানা গেছে এ বিষয়ে ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময়  ৬৯টির চুল্লির  মধ্যে ৫টি চুল্লি বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়। অন্যগুলোতে প্রক্রিয়া চালানোর সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা আবু ইলিয়াস এক মাসের মতো সময় নেন। এর মধ্যে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি  ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে আশ্বস্ত করেন।  কিন্তু এর মধ্যে দেড় বছর চলে গেলেও এগুলো বন্ধতো হয়নি বরং আরও কয়েকটা নতুন স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও মেরামত করে চালু করা হয়েছে ভেঙ্গে দেয়া চুল্লিগুলো। আরও জানা যায়, প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিমাসে ৩ থেকে ৪ বার কাঠ পুড়ানো হয়। যাতে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মন কাঠ পোড়ানো হয়।

চুল্লি মালিক মিঠু জানান, এটা বৈধ না। গরীব মানুষ সামান্য ছোট পরিসরে ব্যবসা করে সংসার চালায়। চেয়ারম্যান শাহজাদা আবু ইলিয়াস ঐ সময় বলেছিলেন কিন্তু তিনি দায়িত্ব নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। ইউএনও সাহেবকে সরি বলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করেছেন তারা সময় দিলেই পদক্ষেপ নেয়া হবে।