মোঃ মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছায় আঁশফল বা কাঠলিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বানিজ্যিক ভাবে চাষ না হলেও উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর পাড় ও বাগানে এ ফলের গাছ বেশ দেখা যায়। এ গাছে এখন ফলে ভর্তি।
আঁশফল বা কাঠলিচু ক্রান্তীয় অঞ্চলের গাছ। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদ্ভিদ হলেও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জায়গায় এ গাছ দেখা যায়। বিশেষ করে পাইকগাছার রাড়ুলী, হরিঢালী, কপিলমুনি, গদাইপুর, চাঁদখালী ইউনিয়নে মোটামুটি এ গাছ দেখা যায়। আঁশফলের গাছ ৬ থেকে ৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। কাঠলিচু/আঁশফলের ফল গাছ মধ্যম আকারের চিরসবুজ গাছ। ফলবিহীন এ গাছ দেখলে মনে হবে লিচুু গাছ। এটি লিচু জাতীয় ফল এবং খেতেও সুস্বাদু। আঁশফল ও লিচুর ফল ধরার সময় একই।
আঁশফল দেখতেও অনেকটা লিচুর মতো গোলাকার। তবে আকারে ছোট এবং রসালো অংশ খুবই কম। আঁশফলে লিচুর চেয়ে আমিষের পরিমাণ বেশি। আঁশফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ না হলেও সরজমিনে দেখা যায়, গ্রামের হাট-বাজারে আঁশফল বিক্রি হতে। আমিষগুণে ভরা এ ফলের কদর থাকলেও পরিচিতি কম।
আঁশফল ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী জানান আঁশফলের চাহিদা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি। আগে এগুলো বাজার ঘাটে বিক্রি কম হতে দেখা যেত এখন বাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যায়। ২০টি আঁশফল কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করা যায়। উল্লেখ্য: এ ফলে প্রচুর শর্করা, ভিটামিন-সি এবং খনিজ উপাদান আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম অংশে ৭২ গ্রাম পানি, ১০৯ কিলোক্যালরি শক্তি, ৮.০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২৮০ আইইউ ভিটামিন এ, ২.০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬.০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১.০ গ্রাম প্রোটিন, ০.৫ গ্রাম ফ্যাট বিদ্যমান।
আপনার মতামত লিখুন :